Trump imposes Tariff on China: চিনের উপরে ১০৪% বাড়তি শুল্ক! ট্রাম্প মোকাবিলায় ভারতের সাহায্য চায় বেজিং? যা বললেন চিনের প্রিমিয়ার
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য চিন খুব একটা বিচলিত নয় বলেই দাবি সে দেশের প্রিমিয়ার লি কিয়াং-এর৷
বেজিং: ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় হচ্ছে বিশ্ব৷ সম্প্রতি হাতে বিশাল ট্যারিফ কার্ড নিয়ে দেশের নাম ধরে ধরে তাদের উপরে নতুন শুল্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প৷ এমনকি, দিনটিকে আমেরিকার বাণিজ্যের ইতিহাসে ‘মুক্তিদিবস’ হিসাবেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, মার্কিন পণ্য রফতানির উপরে মোটা পরিমাণের শুল্ক চাপিয়ে বিশ্বের বহু দেশ আমেরিকাকে লুট করছে৷ তারই পাল্টা চিন সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপরে পাল্টা শুল্কের বোঝা চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ সেই শুল্কের পরিমাণ ছিল ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত৷ প্রথম দফায় চিনা পণ্যের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপান ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু, আমেরিকার পদক্ষেপের পাল্টা চিনও মার্কিন পণ্যের উপরে নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায়৷ সেই শুল্ক প্রত্যাহার না করলে চিনা পণ্যের উপরে আরও বর্ধিত হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প৷ চিন পিছু না হঠায় তাই গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই যাবতীয় চিনা পণ্যের উপরে ১০৪ শতাংশ রফতানি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই শুল্কনীতির প্রতিক্রিয়ায় অবশ্য চিন খুব একটা বিচলিত নয় বলেই দাবি সে দেশের প্রিমিয়ার লি কিয়াং-এর৷ চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ১০৪% শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বেজিংয়ের এই শুল্কের প্রভাব সম্পূর্ণরূপে মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত নীতি সরঞ্জাম রয়েছে। লি কিয়াং উল্লেখ করেছেন যে, চিনের অর্থনীতি বহিরাগত আঘাত সহ্য করতে সক্ষম এবং সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
advertisement
advertisement
চিনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ‘একতরফা বুলিং’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে, চিন তার বৈধ অধিকার এবং স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় চিন মুদ্রানীতি শিথিলকরণ, বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণ, ভর্তুকি প্রদান এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
advertisement
এই বাণিজ্য বিরোধের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং উভয় দেশই তাদের অবস্থানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। চীন স্পষ্ট করেছে যে, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার দ্বারও খোলা রয়েছে।
advertisement
অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই ‘ট্যারিফ যুদ্ধে’র মোকাবিলায় ভারতকেও নিজেদের পাশে পেতে চাইছে চিন৷ মার্কিন পদক্ষেপের সমালোচনা করে ভারতে থাকা চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং বলেন, ‘‘ভারত-চিনের বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক পরস্পরের পরিপূরক এবং পরস্পরের সুবিধা গত দিক থেকে তার নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে৷ এমন সময় আমেরিকা যেভাবে বিভিন্ন দেশের উপরে শুল্ক চাপাচ্ছে বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির উপরে, এমন অবস্থায় দু’টি উন্নয়নশীল দেশের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো৷ নিজেদের দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই৷’’
advertisement
চিনের প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও চিনের সঙ্গে নতুন করে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন৷ কীভাবে পারস্পরিক বাণিজ্য নীতি আরও সুদৃঢ় করা যায়, সে বিষয়েই আলোচনা করা জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি৷
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
West Bengal
First Published :
April 09, 2025 9:37 AM IST