দুর্গা#হিউস্টন : পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালির এখন নাওয়া খাওয়ার জো নেই। কেউ ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের শপিং-এ তো কারও দিন রাত কাবার হচ্ছে মাতৃ আরাধনার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। আমেরিকার প্রায় প্রতিটি শহরেই বাঙালির বাস। নিউ ইয়র্ক থেকে হিউস্টন, ওয়াশিংটন থেকে লস এঞ্জেলস, অতবড় দেশটার নানা প্রান্তের নানা শহরে অনেকগুলো করে দুর্গাপুজো হয়। কোথাও বড় করে, কোথাও ছোট।
যেহেতু পুজোয় আলাদা করে ছুটি-ছাটার সুবিধে নেই। তাই বেশিরভাগ জায়গাতেই পুজো চলে সপ্তাহশেষে। তবে একেবারে নির্ঘণ্ট মেনে চারদিনের মাতৃ আরাধনা আয়োজন করা হয় হাতে গোনা বেশ কয়েকটি জায়গায়। তেমনই একটি পুজো হিউস্টন দূর্গাবাড়ির দূর্গা পুজো।
হিউস্টন দুর্গাবাড়ির পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। উৎসব চলবে টানা ছ'দিন। ৪ অক্টোবর উমার বিদায়ে যার সমাপ্তি। টানা দু'বছরের কোভিডকালের শেষে উত্তেজনা আনন্দ আর আর পুজো ঘিরে মাতামাতি যেন কয়েকশ গুণ বেশি এবারে। দুর্গাপুজোর এই মিলনমেলা আর উৎসবের আমেজে ভর দিয়ে আবারও ছন্দে ফিরতে মরিয়া প্রবাসী বাঙালি। সঙ্গ দিতে কোনও কসুর ছাড়ছেন না অবাঙালি প্রবাসীরাও। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই বাংলার বাঙালির কাছেই এ যেন বছরের সেই বিশেষ সময় যখন দিন পাঁচেকের জন্য প্রবাসীরাও ভুলে যান তাঁরা দেশের কত কত যোজন দূরে।
আরও পড়ুন: সুদূরে প্রাণের পুজোয় প্রবাসীরা! কোভিড শেষে দুর্গাপুজো ঘিরে ফের উৎসবমুখর অ্যারিজোনা!
করোনাকাল শেষ হলেও পুজোর উন্মাদনার মধ্যেও উদ্যোক্তাদের সতর্কতার শেষ নেই এবারেও। পুজো কমিটির ট্রাস্টি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় এবং প্রেসিডেন্ট, মধুমিতা সেনগুপ্তর কথায় যাবতীয় কোভিড বিধি অনুসরণ করা হবে। যদিও এখন মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়, তবে মন্দিরের মধ্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
অন্যান্য পুজোর মতো প্রতি বছর বা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিমা বদল হয় না দুর্গাবাড়ির পুজোয়। প্রতিষ্ঠিত অষ্টধাতুর মূর্তিতেই হয় মাতৃ আরাধনা। ৬ একর মন্দির ক্যাম্পাসে নিজস্ব পুজো যেন হয়ে ওঠে প্রত্যেক বাঙালির বাড়ির পুজো। সবমিলিয়ে প্রবাসীদের এক মিলনমেলা হয়ে ওঠে এই পাঁচদিনের উৎসব।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।