Howrah: নোংরা আবর্জনা আর ফেলনা নয়! SWM প্রজেক্টে তৈরি হচ্ছে জৈব সার ও গ্যাস
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
নোংরা আবর্জনা আর ফেলনা নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে SWM প্রজেক্ট। কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ(Solid Waste Management) বর্জ্য পদার্থ জৈব সারে রূপান্তরিত হবে।
#হাওড়া: নোংরা আবর্জনা আর ফেলনা নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে SWM প্রজেক্ট। কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ(Solid Waste Management) বর্জ্য পদার্থ জৈব সারে রূপান্তরিত হবে। রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারের পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে নির্দেশিকা। এলাকায় প্রতিদিনের বর্জ্য পদার্থ রাস্তাঘাট বা খেলার মাঠ পুকুর জলাশয় বর্ষায় নিকাশি আবর্জনায় বন্ধ হচ্ছে। এ সমস্যা দেখা যায় প্রায় সর্বোত্ত। সেই সমস্যার সন্মুখীন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত এলাকার মানুষও। এবার তা থেকে মুক্তি মানুষের। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এস ডাব্লু এম(SWM) প্রজেক্ট তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে প্লান্টে শুরু হয় আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ। পঞ্চায়েতের ৪টি সংসদের প্রায় ৫০০ বাড়ি থেকে নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ। তা থেকে পচনশীল ও অপচনশীল পদার্থ আলাদা করে পচনশীলকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে জৈব সারে পরিণত করা হচ্ছে। আবার অপচনশীল পদার্থ মার্কেটে বিক্রি এবং প্লাস্টিক প্রায় ২৬ টি বিভাগে চিহ্নিত করে প্রক্রিয়াকরনের পর বাজারজাত করা। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত আবর্জনা সংগ্রহ। সারাদিন বাছাই ও প্রক্রিয়াকরণ।
পচনশীল বস্তুর সঙ্গে গোবর এবং ব্যাকটেরিয়া মিশিয়ে সার তৈরি। (টক দই, বেসন, আখের গুড় ছানার জল, চাল ধোয়া জল মিশ্রণে) বিজ্ঞানসম্মত ভাবে নিজেদের তৈরি ব্যাকটেরিয়া মেশান হয়, তাতে দুর্গন্ধ কম হয়। প্রক্রিয়াকরণ ৪টি পাঠে ১৬ টি পিঠ রয়েছে মিশ্রণ করতে।প্রায় ১-৪৫ দিনের মধ্যে জৈব সারে পরিণত হয়। সাঁকরাইল পঞ্চায়েত প্রধান প্রদ্যুৎ পাল জানান, পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পরিবার রয়েছে, সমস্ত পরিবার থেকেই আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু! আতঙ্কিত গ্রামের মানুষ
প্ল্যান্ট বর্তমানে কয়েক শতক জমির উপর নির্মিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। জৈব সার উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে প্রায় ১ মাস হল। জৈব গ্যাস তৈরী করতে বসানো হচ্ছে ট্যাঙ্ক, যা থেকে প্রতিদিন প্রায় দু কেজি গ্যাস এবং লিকুইড সার পাওয়া যাবে। পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় দশ হাজার পরিবার রয়েছে সমস্ত পরিবার থেকেই বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণ হবে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ বোটানিক্যাল গার্ডেনে 'অ্যাকুয়াটিক প্ল্যান্ট সেকশন' তৈরি
এন আর জি এ (NRGA) এম এন বি (MNB) এবং ফিফটিন ফিন্যান্স এবং পঞ্চায়েতের জেনারেল ফান্ড মোট প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্লান্টি নির্মিত হয়। আরো প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত আবর্জনা তুলে প্রক্রিয়াকরণ করতে, তাতে সরকারি সহযোগিতার প্রয়োজন। জৈব সার খুচরো ১০ টাকা এবং পাইকারি ৭-৮ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হবে জানান পঞ্চায়েত প্রধান। ইতিমধ্যেই প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছে গ্রীন ট্রাইবুনাল টিম (GTA)।
advertisement
Rakesh Maity
Location :
First Published :
July 06, 2022 6:12 PM IST