Howrah: দিনের আলো ফুটলেই গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত! কার তাণ্ডব হাওড়ার ডোমজুড়ে!
Last Updated:
দিনের আলো ফুটলেই আতঙ্ক এলাকাবাসীর। হনুমানের কামড়ে আক্রান্ত একাধিক। সকালে আলো ফুটলে ঘর থেকে দরজা খুলে বাইরে বের হতে মানুষকে ভাবতে হচ্ছে ডোমজুড় ব্লকের নতিপুর ও কেশবপুর গ্রামের মানুষকে।
#হাওড়া: দিনের আলো ফুটলেই আতঙ্ক এলাকাবাসীর। হনুমানের কামড়ে আক্রান্ত একাধিক। সকালে আলো ফুটলে ঘর থেকে দরজা খুলে বাইরে বের হতে মানুষকে ভাবতে হচ্ছে ডোমজুড় ব্লকের নতিপুর ও কেশবপুর গ্রামের মানুষকে। হাওড়া জেলা গ্রামীনে চাষ আবাদের ব্যাপকভাবে ক্ষতি করছে বন্য শুয়োর এবং হনুমানের দল। বন্য শুয়োর হনুমানকে তাড়া করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে এমন ঘটনা সামনে আসতে দেখা গেছে। তবে হনুমান এলাকার মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করে রেখেছে এমন ঘটনা নজীর বিহীন। এমনি ঘটনা সামনে এলো, হনুমানের আতঙ্কে পাশাপাশি দুটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কিত, সকাল থেকে সন্ধ্যা সকালের আলো ফুটলেই এই বুঝি হনুমান তেড়ে এলো। দুটি গ্রামের সাত থেকে আট জন মানুষকে কামড় দিয়েছে হনুমান। বেশ কয়েকজন অল্পের জন্য বেঁচেছে কামড় থেকে। হনুমানের কামড়ে ক্ষত এতটাই বেশি যে আক্রান্ত স্থানের মাংসল অংশ বাদ দিতেও হয়েছে একজনের।
প্রায় দেড় মাস ওই এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে হনুমানের দল। ওই দলে ১৫ থেকে ২০টি হনুমান রয়েছে তার মধ্যেই একটি হনুমান দলছুট হয়ে কামড়ে দিচ্ছে মানুষকে। এলাকায় মাঠে, পার্কে শিশুদের সেভাবে দেখা নেই, গৃহবন্দী সকলে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নয় হনুমানের হাত থেকে বাঁচতে। ঘরের ভিতরে খোলা জানালার থেকে বাইরের দিকে তাকিয়ে মনমরা এলাকার শিশুরা। ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজ যাওয়ার পথেও আতঙ্ক।
advertisement
advertisement
এলাকার আইসিডিএস স্কুলে দিদিমণি পঠন-পাঠনের জন্য স্কুল খুলে রাখলেও অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না হনুমানের ভয়ে। এলাকার ছাদে ওঠাই মহিলাদের প্রায় বন্ধ, নতিবপুর গ্রামে এক মহিলা ছাদে কাপড় শুকুতে গিয়ে আক্রান্ত, পিছন থেকে এসে পায়ে কামড়। এলাকার আরতি কোলে মাঠে যাচ্ছিলেন কিছু বোঝার আগেই পিছন থেকে এসে কামড়, ক্ষত এতটাই বেশি হয়েছিল পায়ের মাংস কেটে বাদ দিতে হল। প্রায় দশদিন হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক বৃদ্ধ তার নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই কামড় খেলেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শহরের অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব ভাবনা 'ওল্ড এজ কেয়ার'- এর
পাশাপাশি দুটি গ্রামের সারাদিন পথঘাট মাঠ খা খা করছে। কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে দুদিন আগে পঞ্চায়েত এর মাধ্যমে বনদফতর এ খবর দেওয়া হয়েছে জানালেন কেশবপুর খাঁড়াপাড়ার বাসিন্দা সুধীন মান্না। শুক্রবার বনদফতর আসার কথা ছিল তবে কোনো কারণে আসেনি। হনুমানের আতঙ্কে বাড়ির বাইরে পা রাখতেই ভয় পাচ্ছেন এলাকার মানুষ, ছোট থেকে বড় ৮ থেকে ৮০ সকলেই আতঙ্কিত। রীতিমতো গৃহবন্দী এলাকার মানুষজন।
advertisement
Rakesh Maity
Location :
First Published :
June 30, 2022 10:55 PM IST