Independence Day : হাওড়ার মাটিতে পা রেখে স্বাধীনতার বীজ বুনেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
- Published by:Uddalak B
Last Updated:
গ্রামীন হাওড়ায় পা রেখে স্বাধীনতার বীজ বুনে গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪০ সালের ৫ই মে, একই দিনে উলুবেড়িয়া নোনা হাটা ও শ্যামপুর স্টেশন সংলগ্ন দুটো জায়গায় মিটিংয়ে যোগদান করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
#হাওড়া: গ্রামীণহাওড়ায় পা রেখে স্বাধীনতার বীজ বুনে গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ১৯৪০ সালে ৫ই মে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ট্রেনে হাওড়া হয়ে উলুবেরিয়ায় আসেন। তিনি একই দিনে উলুবেরিয়া নোনাহাট এবং বাগনানে দুটি মিটিং এ যোগদান করেছিলেন। তার এই হাওড়ার মাটিতে পা রাখা গ্রামীণহাওড়ার সর্বস্তরের, সর্ব ধর্মের, সর্ব জাতির মানুষ সুভাষে মেতে গিয়েছিল। ১৯৩৯ সালে কংগ্রেস থেকে সুভাষচন্দ্র সদ্য বিতাড়িত হয়ে, ফরওয়ার্ডব্লক গঠন করেন।
এর পরবর্তী সময় উলুবেরিয়া মহকুমা কংগ্রেস সুভাষবাদীর ডাকে উলবেরিয়াতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাকে হাওড়া থেকে উলুবেড়িয়ায় নিয়ে আসেন হরেন্দ্রনাথ বোস এবং কৃষ্ণ কুমার চট্টোপাধ্যায় যিনি ছিলেন নেতাজির একসময়ের সেক্রেটারি। স্টেশন থেকেই কালিপদ কর্মকারের হুড খোলা গড়ীতে উলুবেরিয়া শহর পরিক্রমণ করা হয় সুভাষ কে নিয়ে। পিছনে ছাত্রদের মিছিল, রাস্তার দুই দিক থেকে জনতা এবং ব্যবসায়ীদের অভিবাদন গ্রহণ করতে করতে উলুবেরিয়া থানা এবং কালিবাড়ি হয়ে অনিল মণ্ডলের দোকান পর্যন্ত গিয়ে গাড়িতে ঘেমে অসুস্থ বোধ করলে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায়, তখন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে জানানো হয় অদূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন যৌনপল্লীর কর্মী। তারা কিছু অর্থ তার হাতে তুলে দেবার জন্য অপেক্ষা করছেন রাস্তার ধরে। তিনি তাদের কাছ হেঁটে গিয়ে সযত্নে অর্থ সংগ্রহ করেন।
advertisement
তারপর সেখান থেকে ফিরে এসে নোনাহাটে মিটিংয়ে হাজির হন। বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হয় মিটিং, সভাপতির আসনে ছিলেন নানু ঘোষ, এদিনের এই মিটিংয়ে উলুবেরিয়া ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাজি প্রিয়, নেতাজি আদর্শে বিশ্বাসী বহু মানুষ হাজির হন। জানা যায়, উলুবেরিয়ায় বুকে সুভাষচন্দ্র বসু মিটিং করতে আসছেন, সেই খবর পরপর তিন দিন বিজ্ঞাপন করা হয়েছিল। নোনা হাটে মানুষের ঢল নেমেছিল। সেদিন মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন বীরেন্দ্রনাথ অধিকারী, জীবন কর্মকার এছাড়াও বলরাম বেড়া নামে এক বালক সংগীত পরিবেশন করেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : উচ্চতায় টেক্কা আইফেল টাওয়ারকেও! ভূস্বর্গে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে চেনাব রেলসেতু
আরও পড়ুন : 'কেষ্ট গেছে খাঁচার ভিতর', অনুব্রতকে নিয়ে 'চড়াম চড়াম গান' বাঁধল রাহুল- নীলাব্জ
জানা যায়, উলুবেরিয়া নোনা হাটে মিটিং চলাকালীন তিনি মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, কংগ্রেসের দ্বারা স্বাধীনতা আসবেনা, তা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন। হানিবাত নেতাজী সুভাষচন্দ্র আশায় স্বাধীনতা সংগ্রামে মানুষ এতটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছিল যে সভাস্থলে ই মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার হাতে একটা ফান্ড তুলে দেয়া হয়।, একজন বিড়ি ব্যবসায়ী নগেন্দ্রনাথ জানা তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নগদ ৫০০ টাকা তার হাতে তুলে দেন। উলবেরিয়া মিটিং শেষে করে সড়ক পথে গিয়ে ওই দিন ৬.৩৯ নাগাদ বাগনানের মিটিংয়ে যোগ দেন, বাগনান স্টেশন সংলগ্ন মাঠে, কংগ্রেস কমিটি এবং যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, তারপর থেকে গ্রামীণ হাওড়ার বহু মানুষ স্বাধীনতার সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ হয়। আরো জানা যায় সেই সময় উলুবেরিয়ায় যে কংগ্রেস ছিল তা বলা চলে সুভাষপন্থী , উলুবেড়িয়ায় গান্ধীপন্থী কংগ্রেস থাকলেও তা একেবারে নামমাত্র।
advertisement
রাকেশ মাইতি
view commentsLocation :
First Published :
August 13, 2022 10:43 AM IST
