হোম /খবর /হুগলি /
সিমকার্ড বিক্রেতা থেকে রেস্তোরাঁ, রিসর্টের মালিক! শান্তনুর উথ্থান রকেট গতিতে

Santanu Banerjee: সিমকার্ড বিক্রেতা থেকে রেস্তোরাঁ, রিসর্টের মালিক! শান্তনুর উথ্থান রকেট গতিতে

X
শান্তনুর [object Object]

Santanu Banerjee: মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বাড়ি গাড়ি একাধিক ফ্ল্যাট ও রেস্তোরাঁর মালিক হয়েছিলেন তিনি।

  • Share this:

হুগলি: মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রি থেকে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা। উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হতে গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়েরর। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বাড়ি, গাড়ি একাধিক ফ্ল্যাট ও রেস্তোরাঁর মালিক হয়েছিলেন তিনি। ইডির হাতে গ্রেফতারির পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

ইডির হাতে শান্তনুর গ্রেফতারির পরে প্রকাশ্যে আসছে নামে বেনামে শান্তনুর অগাধ সম্পত্তির হিসাব-নিকেশ। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিজেকে জমিদার বলে মনে করতো শান্তনু। বিলাসবহুল বাড়ি, অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ, আকাশ ছোঁয়া রিসর্ট, একাধিক জায়গায় ফ্ল্যাট আরও কত কী রয়েছে শান্তনুর নামে। আর এই সব কিছু হয়েছে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই।

রাজনীতিতে আসার পর ধুমকেতুর গতিতে উত্থান হয়েছে শান্তনুর। মাত্র কয়েক বছর আগে যে ছেলে বাজারে সিমকার্ড বিক্রি করত, তাঁর হঠাৎই এই বিশাল সম্পত্তি হদিস দেখে হতবাক স্থানীয়রা। এলাকার বাসিন্দা সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "গ্রাম্য এলাকায় থেকে বিপুল টাকার সম্পত্তি করেছে শান্তনু। ধরা না পড়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। যেমন মাগুর মাছ জলের তলায় থাকে সহজে উঠে আসতে চায় না তাই এলাকার লোকেরা নাম দিয়েছি পাকা মাগুর।"

শান্তনুর পরিচিত মহলের একাংশের দাবি, রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি দায়িত্বভার পাওয়ার পর যুব নেতা হিসাবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ কয়েকটি জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তারকেশ্বর থেকে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য হন তিনি।

আরও পড়ুন, 'ছবির নীচে সততার প্রতীক লিখতে পারছেন না মমতা!' প্রকাশ্যেই আক্ষেপ মন্ত্রীর

আরও পড়ুন, ভাঙড় নিয়ে আরাবুলের সঙ্গে বৈঠকে শওকত! ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কাইজারের

এর পর থেকে তাঁর সম্পত্তি ও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু হয়। শুধু তাই নয় ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য সুপারফাস্ট গতিতে এগিয়ে চলে শান্তনু। জিরাটে এসটিকেকে রোডের পাশে ‘দ্য স্পুন’ নামে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে তাঁর। চুঁচুড়া, চন্দননগরে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটও আছে শান্তনুর বলে খবর সূত্র মারফত। সূত্রের খবর, শান্তনুস্থাবল সম্পত্তির পরিমাণ কুড়ি কোটি টাকার বেশি।

রাহী হালদার

Published by:Suvam Mukherjee
First published:

Tags: TMC