রাহী হালদার, হুগলি: হুগলির চণ্ডীতলা আঁইয়া গ্রাম। যদিও এই নামে এই গ্রামকে খুব কম লোকই চেনে। তবে যে নামে চেনে তা এই গ্রামের মানুষের পেশার সঙ্গে জড়িয়ে। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির বাইরে থেকে সুস্বাদু মিষ্টির গন্ধ মৌমাছির মতো টেনে নিয়ে আসে মানুষদের। কারণ গ্রামের প্রায় প্রতিটি মানুষের ঘরেই তৈরি হয় বাংলার জনপ্রিয় মিষ্টি রাবড়ি। তাই এই গ্রামকে বেশিরভাগ মানুষ 'রাবড়ি গ্রাম' নামে চেনে।
হুগলির চণ্ডীতলার আঁইয়া গ্রাম একশো ঘর মানুষ এই রাবড়ি ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। মিষ্টি তৈরির কারখানা রয়েছে ঘরে ঘরে। আগে যদিও কয়লা বা কাঠের আগুনে এই রাবড়ি তৈরি হত। বর্তমানে গ্যাসের আগুনেই তৈরি হয় রাবড়ি। দুধ ফুটিয়ে সর দিয়ে তৈরি হয় এই রাবড়ি ও সরভাজা। এর জনপ্রিয়তা বহুল প্রচারিত। শুধু চিনির রাবড়ির সঙ্গে সঙ্গে শীতের সময়ে নলেন গুড়ের রাবড়ি তৈরি হয় এখানে। শুধু এই গ্রামেই নয়, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও এখানে থেকে পাঠানো হয় রাবড়ি। অনেকে আবার এখানেই লোভনীয় রাবড়ি কিনতে আসেন দূরদূরান্ত থেকে।
আরও পড়ুন : এক গা সোনার গয়না, জমকালো শাড়ির উপর সাদা কোট, গলায় স্টেথোস্কোপ, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে এলেন নববধূ
একটি কড়াইয়ে সাত লিটার দুধ ফুটিয়ে দুই লিটার করা হয়। সেই দুধ পাখার বাতাস দিয়ে একটি বাঁশের কাঠির সাহায্যে সর কড়াইয়ে গায়ে রাখা হয়।শেষে চিনি বা গুড় মিশিয়ে, গুলে নামিয়ে রাখা হয়। তার পর চৌকো করে ছুরি দিয়ে কেটে তৈরি করা হয় সুস্বাদু রাবড়ি। প্রতিদিন এক এক জন ব্যবসায়ী একশো লিটার দুধের কাজ করেন। এক কেজি রাবড়ি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।