Cryptocurrency: অল্প সময়ে ধনী বানাতে সক্ষম! ভারতে এই ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে ঠিক কী পরিকল্পনা?
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
Digital Currency: ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এক রকমের ডিজিটাল কারেন্সি। এই কারেন্সি কোনও সরকার বা রাষ্ট্র উৎপাদন বা সরবরাহ করে না
বেশ কিছু সময় ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) অর্থাৎ ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে ভারত সহ সারা বিশ্ব জুড়ে চলে নানান আলোচনা। টেসলার (Tesla) CEO এলন মাস্ক (Elon Musk) সহ অনেক বিশিষ্টজন রয়েছেন যাঁরা এই ক্রিপ্টো মার্কেট নিয়ে ব্যাপকভাবে আগ্রহী রয়েছেন, আবার এমন কিছু মানুষও আছেন যাঁরা এই মুদ্রা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আসুন এর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত...
ক্রিপ্টোকারেন্সি কী?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এক রকমের ডিজিটাল কারেন্সি। এই কারেন্সি কোনও সরকার বা রাষ্ট্র উৎপাদন বা সরবরাহ করে না। বিভিন্ন জটিল সব অ্যালগোরিদম, ব্লক এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি অনুসরণ করেই একেকটি কয়েন বানাতে হয়। আপনি এটিকে নিজের সম্পত্তি হিসাবেই ব্যবহার করতে পারেন, তবে এর জন্য কোনও ব্যাঙ্ক বা ATM নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইন শপিংয়ে ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি দেশের নিজস্ব কারেন্সি যেমন টাকা, রুপি, ইউরো, ডলার, পাউন্ড ইত্যাদি রয়েছে, সেগুলির সঙ্গে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত, কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি এদের থেকে বেশ কিছুটা আলাদা।
advertisement
advertisement
টাকা, রুপি, ইউরো, ডলার, পাউন্ড ইত্যাদির উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রন সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক করে থাকে। এমনকি এই মুদ্রার সরবরাহও ইচ্ছে মতো বাড়ানো কমানো যায়। কিন্তু প্রতিটি ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কয়েনের বেশি জেনারেট করা যায় না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কখন শুরু হয়েছিল?
ক্রিপ্টোকারেন্সি ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন (Bitcoin) এবং এর সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিপ্টোকারেন্সির নামটি প্রকাশ্যে আসে। বিটকয়েনটি জাপানের একজন ইঞ্জিনিয়ার সাতোসি নাকামোটো (Satoshi Nakamoto) তৈরি করেছিলেন। বিশ্ব জুড়ে বর্তমানে ১,০০০টিরও বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে।
advertisement
ক্রিপ্টোকারেন্সি কী ভাবে কাজ করে?
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইনের (Blockchain) মাধ্যমে কাজ করে, অর্থাৎ লেনদেনের রেকর্ড এটিতে রাখা হয়। শক্তিশালী কম্পিউটারগুলি এটি পর্যবেক্ষণ করে, একে বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং (Cryto Mining)। এই পরিস্থিতিতে এটি হ্যাক করা খুব কঠিন। ব্লকচেইনের কারণে, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনগুলি খুব নির্ভরযোগ্য এবং কোনও তৃতীয় পক্ষ যেমন ব্যাঙ্ক বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির প্রয়োজন হয় না। এর এনক্রিপটেড লেজার সব লেনদেনকে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং মানে ক্রিপটো এক্সচেঞ্জে এর কেনা বেচা হয়। এখানে Binance, coinbase, WazirX, Coinone, crypto.com সহ আরও অনেকগুলি বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ রয়েছে।
advertisement
ব্লকচেইন কী? এটি কী ভাবে কাজ করে?
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে চলে। যেখানে লেনদেনের পুরো হিসাব রাখা হয়। এর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাইনিং করা হয়। যাঁরা এটি তৈরি করেন তাঁদের মাইনার্স বলা হয়ে থাকে। ক্রিপ্টোতে যখন কোনও লেনদেন হয় তখন এর তথ্য ব্লকচেইনে রেকর্ড করা হয়।
কয়েকটি বড় ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির নাম-
Bitcoin-BTC
advertisement
Ethereum-ETH
Ripple- XRP
Monero- (XMR)
Cosmos- (ATOM)
Binance Coin-BNB
Polkadot-DOT
Uniswap-UNI
Cardano-ADA
Tether-USDT
Litecoin- (LTC)
Dogecoin
ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার
বেশ কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ৪০ লক্ষ মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলিতে বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগের মোট মূল্য প্রায় ১০০ বিলিয়নের মতো। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ২০ হাজার নতুন বিনিয়োগকারী যোগ দিয়েছেন। ২০২০ সালে, ক্রিপ্টো বাজারে মোট ১৭৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। ভারতে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জগুলি হল Coinswitch, CoinFCX, WazirX। এর মাধ্যমে বিটকয়েন সহ অনেক বড় মুদ্রা দিয়ে ব্যবসা করা হয়।
advertisement
ক্রিপ্টোকারেন্সির সুবিধা কী?
-ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ডিজিটাল মুদ্রা। এতে জালিয়াতির কোনও অবকাশ নেই। এছাড়া এটি হ্যাক করাও প্রায় অসম্ভব।
-ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের জন্য বেশ ভালো, কারণ এর রিটার্নগুলি খুব ভালো। এর জন্য ব্যাঙ্কের দরকার পড়ে না।
-ক্রিপ্টো কেনা, বিক্রয় এবং বিনিয়োগ করা খুব সহজ। কারণ এতে অনেকগুলি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট রয়েছে।
-এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি কোণে লেনদেন করা যায়। ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে ওয়ালেট থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পেতে কেবল সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগে।
Location :
First Published :
June 09, 2021 6:30 PM IST