Diet For Women: ডায়েট তো করছেন! জানেন কোন ডায়েট একেবারেই করা উচিত নয় মহিলাদের? জানুন 'কারণ'
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Diet For Women: অনেক সময় বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কোনও ডায়েটে কোনও লাভ পাওয়া যায় না।
#নয়াদিল্লি: আজকাল বেশিরভাগ মানুষই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে বিবিধ চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট কোনও ডায়েটে (Diet For Women) কোনও লাভ পাওয়া যায় না। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি বেশি করে চোখে পড়ে।
ছেলে এবং মেয়েদের কীভাবে আলাদা ডায়েট হয়?
advertisement
পুরুষ ও মহিলা বায়োলজিক্যালি অনেক আলাদা হয়। যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল পুরুষ এবং মহিলাদের (Diet For Women) শরীরে ফ্যাটের ব্যবহার এবং জমে থাকা। পুরুষদের গঠনের অংশ হিসাবে গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ অপরিহার্য চর্বি (Diet For men) থাকে এবং মহিলাদের থাকে ১২ শতাংশ। এই অপরিহার্য চর্বি হল শরীরের মোট চর্বির ভরের একটি শতাংশ যা ইনসুলেশন, শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির সুরক্ষা, ভিটামিন সঞ্চয় এবং স্টেরয়েডের মতো কোষের মধ্যে যোগাযোগ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। এই ফ্যাট ছাড়া শরীর সঠিকভাবে কাজ করে না এবং আমাদের ইমিউন এবং নিউরোলজিক্যাল সিস্টেমে প্রভাব পড়ে। মহিলাদের (Diet Tips) চারগুণ বেশি প্রয়োজনীয় ফ্যাট থাকে। মহিলাদের মধ্যে সঞ্চিত ফ্যাট আসলে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অপরিহার্য চর্বির ১২ শতাংশের একটি বেসলাইন মহিলাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং এমনকী হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। আর ওজন কমানোর জন্য এটি বোঝাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
advertisement
২০ শতাংশ শরীরের মেদ ঝরানো অস্বাস্থ্যকর কেন?
বিশ্বে তিনটি জনপ্রিয় ডায়েট রয়েছে: কোটো ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এবং জিএম ডায়েট। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, যে সকল মহিলা ১৫-২০ কেজি ওজন কমাতে চাইছেন এবং স্থায়ীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাঁদের জন্য এই ডায়েটগুলি খুব একটা সাহায্য করে না।
এই ডায়েট প্ল্যানগুলি নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক; কোন ডায়েট কীভাবে ক্ষতি করতে পারে শরীরের?
advertisement
কেটো ডায়েট
কেটোজেনিক ডায়েট হল লো কার্ব, হাই-ফ্যাট ডায়েট। কার্বোহাইড্রেট নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ালে সেই ডায়েট কেটোসিস হতে পারে। এটি একটি বিপাকীয় অবস্থা যেখানে আমাদের শরীর কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে এনার্জির জন্য প্রাথমিকভাবে ফ্যাটের উপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে মহিলাদের শরীর সবসময় চর্বি কমাতে পারে না কারণ গর্ভাবস্থা এবং মাতৃদুগ্ধের জন্য এটি অপরিহার্য। কেটো ডায়েটে সাধারণত প্রতিদিন ৫০ গ্রামের কিছু বেশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়া যায় যা মহিলাদের (Diet For Women) শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আনতে পারে। যেমন মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং মেটাবলিক পরিবর্তন সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। পাশাপাশি এই ডায়েট সধারণত স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করে এবং এতে মাথা ব্যথা, ক্লান্তিভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ওজন হ্রাস হলেও তা ওয়াটার ওয়েট। একইসঙ্গে যে সকল মহিলাদের পিসিওএস, অনিয়মিত ঋতুস্রাব অথবা বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য কেটো ডায়েট লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি করে।
advertisement
ইন্টারমিটেড ফাস্টিং
ফাস্টিং হল আসলে একটি অভ্যেস যেখানে আমাদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া বন্ধ রাখতে হয় অথবা নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। সম্প্রতি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ইন্টারমিটেড ফাস্টিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্থূলতা কিংবা বেশি ওজন থাকলে ইন্টারমিটেড ফাস্টিং ভালো ফল দিয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও এটির বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাবও (Diet For Women) রয়েছে। যেমন-
advertisement
মুড স্যুইং
খুব বেশি খিদে
কম এনার্জি/ক্লান্তিভাব
খুব বেশি খেতে চাওয়া
ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ না করে একদিনে বেশি খাওয়া
হতাশা
রাগ
বেশিরভাগ মহিলার মধ্যে ইন্টারমিটেড ফাস্টিং করার প্রথম কিছু সপ্তাহে এই ধরনের ব্যবহার দেখা যায়। এমনকী ক্যালোরি এইভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে মহিলাদের ঋতুচক্রেও প্রভাব পড়ে।
advertisement
জিএম ডায়েট
জিএম ডায়েট এক সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট খাবার অথবা খাবারের গ্রুপে জোর দিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। জিএম ডায়েটে ৭ দিনের মিল প্ল্যান থাকে। যদিও অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওজন কমানোয় এটি আকর্ষণীয় বলে মনে হতে পারে। তবে জিএম ডায়েট করলে অত্যাবশ্যক পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। জিএম ডায়েট করলে মহিলাদের শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিনের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের চাহিদা নাও মিটতে পারে। এই ডায়েটে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলিরও অভাবও থাকতে পারে। তাছাড়া জিএম ডায়েট একটি স্থায়ী দীর্ঘমেয়াদী ওজন কমানোর কৌশল নয়। কারণ এক্ষেত্রে ডায়েট বন্ধ করে দিলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আরও অন্যান্য ঝুঁকি যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মহিলাদের মধ্যে আরও বাড়তে পারে তা হল ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেশির দুর্বলতা এবং মনোযোগে অসুবিধা। তাই সংক্ষেপে বলা যায়, সুষম ক্যালোরি অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিনের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং খনিজ গর্ভাবস্থা, স্তন্যদান এবং মহিলাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। তাই ওজন কমানোর সময়ে সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Location :
First Published :
March 23, 2022 12:47 PM IST