#কলকাতা: 'শেরদিল'-এর প্রচারে শহরে পঙ্কজ ত্রিপাঠী। কলকাতার গুমট গরমেও শহর ঘুরে দেখলেন তিনি। তার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলিউডের উচ্চ প্রশংসিত অভিনেতা। আর তাঁর সঙ্গে বাংলার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক এবং অভিনেতার যুগলবন্দির গল্প শোনা গেল বাংলার সন্তানের মুখেই। ২০২১ সালের শেষের দিকে এই ছবির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল। দেশের প্রেক্ষাগৃহে তারই ফসল ফলবে আগামী ২৪ জুন।
নিউজ18 বাংলাকে সৃজিত বললেন, ''গঙ্গারামের মতো চরিত্রের জন্য পঙ্কজ ছাড়া আর কারও কথা মাথাতেই আসে না। ওঁর অভিনয়ের যে বিস্তৃতি, তার তুলনা নেই। আর মানুষটাও এত ভাল। এত মাটির কাছাকাছি। এ রকম চরিত্রই তো তার গ্রামের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে চাইবে। পঙ্কজ আমাকে চিত্রনাট্যে অনেক সাহায্য করেছেন।'' পঙ্কজের সঙ্গে পরিচালকের বন্ধুত্ব গাঢ় হয় ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ে। ক্যামেরা সেট করার অনেক আগেই জঙ্গলের বেশ খানিকটা ভিতরে চলে যেতেন দুই শিল্পী। সেখানে চেয়ার পেতে চা খেতে খেতে সূর্যোদয় দেখতেন। আলোচনা করতে নানা কিছু। কখনও বিষয়বস্তু হয়ে উঠত রাজনীতি, কখনও বা জীবন দর্শন। কখনও আবার কে কোন জঙ্গলে ঘর বাঁধবেন সেই আলোচনা জুড়তেন দুই জঙ্গলপ্রেমী। পঙ্কজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিচালকের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র অরণ্য। সময় সুযোগ পেলেই তাঁরা অরণ্যে দিনরাত্রি কাটান।
আরও পড়ুন: তাপসী পান্নুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে দারুণ খবর দিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়!
ছবির বিষয়বস্তু সৃজিতের মাথায় অনেক আগেই বাসা বেঁধেছে। উত্তর প্রদেশের বরেলির কাছে পিলিভিটে বাঘের থাবায় সাত প্রবীণের মৃত্যু হয়। তদন্ত করে জানা যায়, মোটা টাকা ক্ষতিপূরণের লোভে নাকি গ্রামের মানুষেরা পরিবারের বয়স্কদের রেখে আসত পিলিভিট ব্যাঘ্র প্রকল্পে। যাতে বাঘের হাতে মৃত্যু হয় বয়স্কদের। ক্ষতবিক্ষত দেহ ফের নিয়ে আসা হত প্রকল্প এলাকার বাইরে। মৃতদেহ দেখিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করা হত ক্ষতিপূরণ। গ্রামবাসীরা দাবি করেছিলেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় রাজি হতেন বাঘের খাদ্য হতে। তাতে গ্রামের বাকিদের হাতে টাকা উঠুক, এটাই নাকি চাইতেন।
আরও পড়ুন: সৃজিতের এক্স=প্রেম-এ আনকোরা জুটি অর্জুন-মধুরিমা! তৈরি বিশেষ রোম্যান্টিক প্লট
২০১৭ সালে পিলিভিটের এই ঘটনার কথা পড়েছিলেন সৃজিত। তখন থেকেই তাঁর মাথায় নতুন ছবির গল্পের বুনন শুরু। এই গল্পকে প্রহসনের আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন সৃজিত। এর মাধ্যমে শহরের মানুষ জানবে, গ্রামে কী ভাবে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে সম্মুখসমরে গিয়ে দিন কাটাতে হয়। ছবিতে পঙ্কজ ওরফে গঙ্গারাম স্বেচ্ছায় জঙ্গলে যেতে চায়, যাতে বাঘে তাকে খায়, এবং কাঁটাছেঁড়া দেহ দেখে সরকার তাদের টাকা দেয়।
সৃজিতের এই ছবিতে পঙ্কজ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন নীরজ কবি এবং সায়নী গুপ্ত। সৃজিত বললেন, ''নীরজ কেবল এক জন অভিনেতা নন, অভিনয়ের শিক্ষক বটে। অনেক কিছু শিখলাম তাঁর কাছ থেকে। অন্য দিকে সায়নীর ভাষা, অঙ্গভঙ্গি যে ভাবে বদলে গিয়েছিল তা দেখে আমি নিজেই খুব অবাক হয়েছি।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Pankaj tripathi, Srijit Mukherji, Tollywood