দু'দেশের মানুষই স্বাধীন, তাও গণ্ডি রয়ে গিয়েছে, সিনেমার বাধাবিপত্তি নিয়ে আক্ষেপ চঞ্চলের

Last Updated:

ওটিটি এখন চঞ্চলের প্রথম পছন্দ। তিনি জানেন, এই মাধ্যমে তাঁর কাজ প্রকাশ পেলে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন। নিয়মের বেড়াজালে বাধাপ্রাপ্ত হবে না তাঁ শিল্পের হাওয়া।

#কলকাতা: কাঁটাতারের এপার আর ওপার। দূরত্বও খুব বেশি নয়। সময় পার্থক্য মাত্র আধ ঘণ্টা। তা সত্ত্বেও শিল্পের যাতায়াতে এত বেগ পেতে হয়? পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ছবি বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। অথচ উল্টোটা হচ্ছে না। আদান প্রদান সেখানেই থেমে যাচ্ছে। যেন এক তরফা এক যাত্রা। আর তা নিয়ে যে শিল্পীদের আক্ষেপ থাকবে, তা তো বলাই বাহুল্য। নিউজ18 বাংলার সঙ্গে আড্ডার সময়ে আফশোসের সুর চঞ্চল চৌধুরীর গলায়।
কলকাতার মানুষ চঞ্চলের মতো উচ্চপ্রশংসিত অভিনেতাকে চিনতে এত দেরি কেন করল? ওটিটি-তে 'কারাগার' না এলে বা কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব না হলে কি এমন এক অভিনেতাকে চিনতে পারত এপার বাংলার দর্শক? তাঁর সমস্ত কাজ কি হাতে আসত? সবার কাছে পৌঁছতে না পেরে শিল্পী সত্তায় আঘাত লাগে?
advertisement
advertisement
এই প্রসঙ্গে চঞ্চলের বক্তব্য, ''আমি তো অনেক পরে এসেছি। ৩০-৪০ বছর আগে যে মানুষগুলো দুর্দান্ত অভিনয় করতেন, তাঁদের চিনতেই পারল না কেউ। হাতে গোনা কয়েক জনকে চিনেছে মানুষ। যাঁরা এপার বাংলায় এসে কাজ করেছেন। যেমন সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ববিতা ম্যাডাম। তাই তাঁর অভিনয় এখানে পরিচিত।''
অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদির প্রসঙ্গ তুলে চঞ্চল বললেন, ''আমরা মনে করি, ওনার মতো অভিনেতা বাংলাদেশে আর জন্মাননি। এবং আরও অনেকে এরকম আছেন যাঁরা সারা জীবনই দুর্দান্ত অভিনয় করে পার করে গেলেন, কিন্তু কেউ তাঁদের কাজ দেখলেন না। সবই বাংলা। অথচ এপার পর্যন্ত পৌঁছতেই পারলেন না। বরং ইউটিউব বা ওটিটির কারণে আমরা তো এখন পরিচিত। আমাদের কাজ দেখতে পারছেন এই বাংলার মানুষ।''
advertisement
অভিনেতার কথায় জানা গেল, কলকাতায় এমন কোনও কাজ হয়নি, যা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ অবগত নয়। কিন্তু তাঁদের কাজগুলো বিভিন্ন কারণে এখানে এসে পৌঁছয়নি। চঞ্চলের আক্ষেপ, ''যদি শুরু থেকেই সমস্ত শিল্পীকে এই বাংলার সঙ্গে পরিচয় করানো যেত, তা হলে আমাদের বাংলাটা আরও এগিয়ে যেত। সেখানে বাংলাদেশ বা কলকাতা আলাদা করে আসছেই না। দুই বাংলার সবাই সবাইকে চিনলে আরও বড় কিছু হতে পারত।''
advertisement
শিল্পের অবাধ যাতায়াত বাধাপ্রাপ্ত কেন হল? কারণগুলি কী কী?
চঞ্চল বললেন, ''সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। আমাদের শিল্পীদের এতে কোনও ভূমিকাই নেই। রাষ্ট্রীয় আইন, কাঠামো, সব কিছুই কাজ করছে এর নেপথ্যে। দুই দেশের মানুষই স্বাধীন। কিন্তু তাতেও একটা গণ্ডি রয়েই গিয়েছে। তার বাইরে তো আমরা কিছুই করতে পারি না। যেমন 'হাওয়া' এই দেশে রিলিজ করানোর জন্য অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে সমস্ত বাঙালি কমিউনিটিতে একাধিক বার ছবিটি দেখানো হয়ে গেল। কিন্তু কলকাতাতেই সম্ভব হচ্ছে না এখনও। আর তা কেবলমাত্র কিছু নিয়ম শৃঙ্খলার কারণে। সেন্সর করাতে দীর্ঘ সময় লাগে যা দেখা যাচ্ছে। এরই মাঝে যদি দর্শকের আগ্রহ কমে যায়?''
advertisement
ওটিটি এখন চঞ্চলের প্রথম পছন্দ। তিনি জানেন, এই মাধ্যমে তাঁর কাজ প্রকাশ পেলে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন। নিয়মের বেড়াজালে বাধাপ্রাপ্ত হবে না তাঁ শিল্পের হাওয়া।
শেষে চঞ্চলের সংযোজন, ''আমার বক্তব্যে রাজনৈতিক কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, এই সমস্যাগুলো অনেক আগেই সমাধান হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। শিল্পী হিসেবে দাবি কেবল একটাই, এদেশের সিনেমা বাংলাদেশ দেখবে। বাংলাদেশের সিনেমা এদেশের দর্শক দেখবে। বিনা বাধায়।''
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
বিনোদন জগতের লেটেস্ট সব খবর ( Entertainment News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ বলিউড, টলিউড থেকে হলিউড সব খবরই পাবেন এখানে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন ন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
দু'দেশের মানুষই স্বাধীন, তাও গণ্ডি রয়ে গিয়েছে, সিনেমার বাধাবিপত্তি নিয়ে আক্ষেপ চঞ্চলের
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement