কলকাতা: নন্টে-ফন্টে ছাড়া ছেলেবেলাটা অসম্পূর্ণই থেকে যায়! নারায়ণ দেবনাথের এই অমর সৃষ্টি প্রথম বারের জন্য বড় পর্দায় আসতে চলেছে। জালান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মসের প্রযোজনায় অনির্বাণ চক্রবর্তীর পরিচালনায় তৈরি হওয়া ‘নন্টে-ফন্টে’ খুব শীঘ্রই হলে আসছে। এবার সেই ছবিরই টিজার লঞ্চ হল। মে-র মাঝামাঝি স্নেহদিয়া বৃদ্ধাশ্রমের সদস্যদের জন্য নজরুল তীর্থে স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছেন হিডকো এমডি দেবাশিস সেন। আগামী ১৯ মে ছবিটি রিলিজ করছে ৷
এই ছবিতে অভিনয় করছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, অম্লান মজুমদার, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, সুমিত সমাদ্দার, লামা, কাঞ্চনা, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, পার্থসারথি দেব, পুলকিতা, সোহম বসু রায় চৌধুরী, সোহম বোস, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় , মনোজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, নিমাই ঘোষ প্রমুখরা। ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অম্লান মজুমদার। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অনুপম রায়। প্রোমো আর মোশন এডিটের দায়িত্বে রয়েছেন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কালারিস্টের দায়িত্ব সামলেছেন ঋতজিৎ। এছাড়া ছবির কার্যনির্বাহী প্রযোজনা এবং সহ-প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় ও আকৃতি জালান।
আমাদের প্রত্যেকের ছোটবেলাই ঘিরে রেখেছিল নন্টে-ফন্টের দুষ্টুমি। নন্টে-ফন্টে, কাল্টুদা এবং হাতি স্যার মানেই তো ম্যাজিক! নন্টে-ফন্টের কাণ্ডকারখানায় কেঁপে ওঠে হিরাগঞ্জ ও মতিগঞ্জ। ১২ বছরের দুই খুদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে হাতি স্যারের হস্টেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তাদের পরিবার। অগত্যা হস্টেলে এসে উঠতে হয় তাঁদের আর ঠাঁই হয় একই ঘরে। সেখানেই একে অপরকে জব্দ করার ফন্দি আঁটে তারা। এই সব করতে গিয়েই ওই দুই খুদে ধরে ফেলে চোর - কাঁকড়াকে।
এই কাঁকড়া আবার ড্রাগনের পরিবারের অন্যতম সদস্য। আর ড্রাগনের অনেক স্বপ্ন! তার হাতেই তো তৈরি হয়েছে নামকরা সব চোর-জালিয়াত! এদিকে চোর ধরে হাতি স্যারের বাহবা কুড়োয় নন্টে-ফন্টে। জ্বলে ওঠে কেল্টুদা। যে কি না নন্টে-ফন্টের থেকে বেশ কয়েক বছরের বড়! আবার হস্টেলের মনিটরও বটে! এহেন কেল্টুদাকে সকলেই সমীহ করে চলে। কেল্টুদা পদে পদে নাস্তানাবুদ করতে থাকে নন্টে-ফন্টেকে। তবে বারবার জব্দ করতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে যায় কেল্টুদা।
এর পর ভাগ্নির ফোন পেয়ে বাঘ মারতে নন্টে-ফন্টেদের নিয়ে সুন্দরবন অভিযান করেন হাতি স্যার। সেখান থেকে ফেরার পথেই বাস হাইজ্যাক হয়। এভাবেই ড্রাগনের খপ্পরে আসে বাসটি। ড্রাগনের তো খুব মজা, বাসের এত যাত্রীকে চোর-ডাকাত বানাতে পারলেই তার কেল্লা ফতে! আর ড্রাগনের হাত থেকে সকলকে উদ্ধার করতে আসরে নামে নন্টে-ফন্টে। ড্রাগন কি ধরা পড়বে? এই উত্তর পেতে গেলে চোখ রাখতেই হবে বড় পর্দায়!
অম্লান মজুমদারের কথায়, “অনেক চিত্রনাট্য লিখেছি। কিন্তু নন্টে-ফন্টে আমার জীবনের এক অনন্য অনুভূতি। নারায়ণ দেবনাথ নিজে আমার হাতে প্রায় আটশো কমিকস তুলে দিয়েছিলেন। যদিও আগেই আমি অনেকটা পড়ে ফেলেছিলাম। তবু তাঁর হাত থেকে পাওয়াটা আমার কাছে সৌভাগ্যের।” তিনি আরও জানান যে, নারায়ণ দেবনাথের কমিকস নিয়ে প্রথম ছবি। তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ তো আছেই। আর সবথেকে বড় পাওনা হল, শ্যুটিং চলাকালীন লোকেশনে গিয়ে কাগজ নিয়ে নন্টে-ফন্টে এঁকেছিলেন খোদ সৃষ্টিকর্তাই!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengali Web series, Klikk