৩২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৩০ জনই 'ফেল'! মাধ্যমিকে ব্যর্থতার শীর্ষে...সবচেয়ে খারাপ রেজাল্ট এই স্কুলের!
- Published by:Tias Banerjee
- local18
- Reported by:SUROJIT DEY
Last Updated:
মাধ্যমিকে ব্যর্থতার তালিকায় শীর্ষে জলপাইগুড়ির এই বিদ্যালয়! একেই জলপাইগুড়ি জেলা রয়েছে মাধ্যমিকের ফলে ব্যর্থতার শীর্ষে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে জেলার এই স্কুলও। ৩২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৩০ জনই অকৃতকার্য! জলপাইগুড়ির আনন্দ বিদ্যাপীঠের শিক্ষাব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে।
জলপাইগুড়ি: মাধ্যমিকে ব্যর্থতার তালিকায় শীর্ষে জলপাইগুড়ির এই বিদ্যালয়! একেই জলপাইগুড়ি জেলা রয়েছে মাধ্যমিকের ফলে ব্যর্থতার শীর্ষে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে জেলার এই স্কুলও। ৩২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৩০ জনই অকৃতকার্য! জলপাইগুড়ির আনন্দ বিদ্যাপীঠের শিক্ষাব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে। যেখানে মাধ্যমিকের সেরা দশের সাফল্য নিয়ে হইচই পড়ে, সেখানে নজর এড়ায় ব্যর্থদের তালিকা। তবে এবারের ব্যতিক্রম জলপাইগুড়ি জেলা এবং জেলা সংলগ্ন মালবাজার শহরের আনন্দ বিদ্যাপীঠ স্কুল।
advertisement
advertisement
মাধ্যমিকে ভয়াবহ ফল করে রাজ্যের শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই স্কুল। পানোয়ার বস্তির চা বাগান এলাকার প্রান্তিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়ে এই বিদ্যালয়ে। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৩০ জনই অকৃতকার্য। মাত্র ২ জন পাশ করেছে, তাও কোনোরকমে। সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ২৮৫। এই পরিসংখ্যান অস্বস্তিতে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষাব্যবস্থাকে।
advertisement
বিদ্যালয়ে নেই কোনও স্থায়ী প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরেই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হীরালাল রবিদাস দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৮ জন স্থায়ী এবং ৪ জন পার্শ শিক্ষক, কিন্তু স্থানীয়দের দাবি—বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকাই নিয়মিত ক্লাসে দেখা যায় না। শিক্ষার প্রতি এই উদাসীনতাই হয়তো আজকের ভয়ঙ্কর ফলাফলের কারণ।হীরালালবাবু বলেন, “চা বাগান এলাকার পড়ুয়ারা মূলত হিন্দি মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পায়।
advertisement
বাংলা ও ইংরেজিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ায় তারা সমস্যায় পড়ে। গরমের ছুটির পর আমরা ফলাফল খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”প্রশ্ন উঠছে, এই শিশুদের দায় কাদের? শিক্ষকদের? ব্যবস্থার? নাকি আমাদের সবার? টোটোপাড়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফলও যেখানে ভালো, সেখানে শহরতলির এক স্কুলের এমন পতন নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। একটু নজর, একটু যত্ন—হয়তো বদলে দিতে পারে আগামী বছরগুলো। অন্তত সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন অভিভাবকদের একাংশ।
advertisement
সুরজিৎ দে
view commentsLocation :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
May 06, 2025 8:00 PM IST

