HS Exam 2025: হাতে নেই জোর, উচ্চমাধ্যমিকে পা-ই ভরসা! যা করে এই দেখাল ছাত্র, জানলে চোখে জল আসবে
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
HS Exam 2025: লক্ষ্য বি.টেক করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। পছন্দের বিষয় রসায়ন। সময়ের সঙ্গে লড়াই করা প্রতিদিন। মনের জোর এবং আগামীর ইচ্ছে নিয়ে চলা। ছাত্রের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: মনের জোর অদম্য। বড় হয়ে হবে ইঞ্জিনিয়ার। তবে এর মধ্যেই বাধ সেধেছে শারীরিক বিশেষ সক্ষমতা। শরীর এবং মনের সঙ্গে দিনের পর দিন লড়াই, তবু জীবন যুদ্ধে হার মানেনি সে। লড়াই করে গিয়েছে নিরন্তর। দুটো হাতের কোনও কর্ম ক্ষমতা না থাকলেও, পায়ে লিখে উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে এক ছাত্র। বড় হয়ে সে স্বপ্ন দেখে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। সেইমতো প্রতিদিন প্রস্তুতিও নিচ্ছে সে। বাবার সঙ্গে বাইকে চেপে পরীক্ষা দিতে আসা, পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে পড়তে বসা। অন্যান্য স্বাভাবিক ছেলেমেয়েদের মত চলাফেরার ক্ষমতা থাকলেও হাতে তার জোর নেই। মনের জোরে মাধ্যমিক দিয়েছে, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠেছে। চলতি শিক্ষা বর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছে বিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্র। তার রয়েছে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা জীববিদ্যা, বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।
বরাবরই মেধাবী সে। জন্মের পর থেকেই দু’হাত অকেজো। বিশেষ এক শারীরিক অসুস্থতার কারণে দু-হাত স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই ছোট। ফলত, সেই দুই হাতের কোনও কার্যক্ষমতা নেই। স্বাভাবিকভাবে ছোট থেকেই পা দিয়ে লেখা অভ্যাস করেছে সে। যে পা দিয়ে চলাফেরা করে, সেই পা ভরসা উচ্চমাধ্যমিকে লেখার জন্য। মেদিনীপুর জেলায় এমন এক কৃতি ছাত্রকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। তার এই কঠোর অধ্যাবসায় এবং তার এই পড়াশুনার প্রতি জেদ ও ভবিষ্যতের ইচ্ছেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
advertisement
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের বেরুয়া গ্রামের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কল্যান বেরা। পিওর সায়েন্সের ছাত্র সে। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে করকাই বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ-এ। শারীরিক অসুস্থতার কথা মনে পড়লে চোখে জল আসে তার বাবা-মায়ের। সারাদিনের পরিশ্রম এবং পড়ার জন্য নিরন্তর মনের সঙ্গে যুদ্ধ ভাবলেই কেঁদে উঠে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কল্যাণ। প্রতিদিন আর পাঁচজন ছেলে মেয়েদের দেখে সে, দু’হাত দু’পা আছে তাদের। দু;হাত দিয়ে সবাই যা করে সেটা করতে পারে না। তবে মনের জোর ছাড়েনি। প্রত্যন্ত গ্রামের সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সে। বাবা চাষাবাদ করে সংসার চালায়। সামান্য বেড়ার বাড়ি থেকেই বড় হয়ে ওঠা। একদিকে সাংসারিক অর্থাভাব অন্যদিকে মনের সঙ্গে লড়াই, এভাবে প্রায় ১৮ টা বছর নিচের জীবন অতিবাহিত করেছে সে।
advertisement
লক্ষ্য বি.টেক করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। পছন্দের বিষয় রসায়ন। সময়ের সঙ্গে লড়াই করা প্রতিদিন। মনের জোর এবং আগামীর ইচ্ছে নিয়ে চলা। ছাত্রের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। এমন এক লড়াই সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
March 06, 2025 2:48 PM IST