#নয়াদিল্লি: করোনার দৌরত্ম্যে দেড় বছরের বেশি সময় স্কুলগুলি বন্ধ ছিল। মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের পকেটে টান পড়েছে এই পর্বেই। আর তার প্রভাব বোঝা যাচ্ছে স্বাভাবিকতা ফিরতেই। রাজধানীতে তো বটেই বাংলাতেও মহামারী পরবর্তী আর্থিক অবস্থা পড়ুয়াদের স্থানান্তরিত করেছে সরকারি বিদ্যালয়ে। ছাত্র এবং ছাত্রীদের মধ্যে তুলনা করলে অবশ্য প্রাইভেট স্কুলে এখনও ছাত্রদের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি অ্যানুয়াল স্টেটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট (Annual Status of Education Report) অনুযায়ী এমন তথ্যই সামনে এসেছে।
২০২০ সালে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাইভেট স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছেড়েও দিয়েছে। তবে এই রিপোর্ট অনুযায়ী বেসরকারি স্কুলে তালিকাভুক্ত পড়ুয়াদের সংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে, এবং ক্রমাগত সরকারি স্কুলে তালিকাভুক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই বৃদ্ধির কারণ হিসাবে, ৪০ শতাংশের মতামত, প্রাইভেট স্কুলে পড়াশোনা ঠিকঠাক চলছে না, ১৫ শতাংশের মতে ছাত্র সংখ্যা হ্রাসের কারণ মাইগ্রেশন। অন্য দিকে, ৬২ শতাংশ আর্থিক দুরবস্থার কারণে বেসরকারি স্কুল থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন এবং প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ সরকারি স্কুলে বিনামূল্যে বিভিন্ন সুবিধা লাভকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় ভোট প্রচারের শেষ সপ্তাহে ঘরে ঘরে তৃণমূলের তারকারা
বরাবরের মতোই ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সরকারি স্কুলে ভর্তির সংখ্যা বেশি। তবে এ বারে এই ব্যবধান খানিকটা কমেছে। ২০১৮ সালে সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়া ছেলেদের সংখ্যা ৬৩ শতাংশ ছিল যা বেড়ে ২০২১ সালে ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ASER ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের সমীক্ষাটি চালিয়েছিল। সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা বলছেন তাঁদের স্কুলে প্রায় ৭০ শতাংশ ভর্তির হার বেড়েছে।
একই সঙ্গে, স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের অনুপাতও ২০২০ সালের তুলনায় ১.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে৷
আরও পড়ুন-সপ্তাহান্তে ফের আবহাওয়ার রদবদল? কলকাতায় নিম্নমুখী পারদ! দেখুন আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাস...
রাজ্য স্তরে শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে তারতম্য রয়েছে। সরকারি স্কুলে তালিকাভুক্তির জাতীয় বৃদ্ধি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মতো উত্তরের বড় রাজ্যগুলি এবং মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিপরীতে, উত্তর-পূর্বের অনেক রাজ্যে এই সময়ের মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির হার কমেছে এবং স্কুলে ভর্তি না হওয়া শিশুদের অনুপাত বেড়েছে।
ASER-এর ১৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মহামারী আরও এক বছর প্রসারিত হওয়ায় ক্ষেত্র-ভিত্তিক জরিপ কার্যক্রম এখনও জাতীয় স্কেলে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ, ASER ২০২১ ফোন-ভিত্তিক সমীক্ষার মতো পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। প্রথম লকডাউনের আঠেরো মাস পরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০২১-এ পরিচালিত সমীক্ষার বিষয়, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে কী ভাবে ৫-১৬ বছর বয়সী শিশুরা বাড়িতে পড়াশোনা করছে এবং স্কুল খোলার ফলে স্কুল ও পরিবারগুলি বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে তা অন্বেষণ করে দেখা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: School, School Reopening