ছোটবেলার ক্ষত... দুর্ঘটনায় অকেজো পা, বাবার কোলে চেপে উচ্চমাধ্যমিক দিতে এল মেয়ে!

Last Updated:

পরীক্ষার দিনগুলোতে তার বাবা সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে আসে তাকে। সাইকেল স্ট্যান্ড করে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দেয় পর্ষদের তৈরি করা বিশেষ জায়গায়। সেখানেই মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। 

+
বাবার

বাবার কোলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী 

পশ্চিম মেদিনীপুর: এদিক ওদিক যাওয়ার ভরসা বাবার কোল। কিংবা ঘষটে ঘষটে যেতে হয় এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। এভাবেই ছোট থেকে কাটিয়েছে অনেকগুলো বছর। চলতি বছরে সে বসেছে উচ্চ মাধ্যমিকে। শারীরিক অসুস্থতা থাকার সত্বেও মনের জোরকে সঙ্গী করে পরীক্ষা দিচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক। তবে গেট থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়া ভরসা তার বাবা।
advertisement
কোলে চাপিয়ে তার বাবা নিয়ে যান এদিক থেকে ওদিক, বসিয়ে দেন পরীক্ষার সিটে। মনের জোরকে সঙ্গী করে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ার এই লড়াই সমাজের কাছে অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে আর পাঁচজনের মতো মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায় সে, হতে চায় পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ।
advertisement
ছোটবেলায় পড়ে গিয়ে পায়ের হাড় ভেঙে দু’পা অকেজো হয়ে যায়। সেই ছোট থেকেই চলাফেরায় ভরসা ছিল তার দুই হাত। দুই হাতের উপর ভর করে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াত করে সে। তবে বাড়ির বাইরে বেরোলে ভরসা তার বাবা। কোলে করে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে নিয়ে যান তার বাবা। এভাবেই কাটিয়েছে বহু বছর।
advertisement
চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকে বসেছে সে, পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে করকাই বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে।সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সে। ছোট থেকেই শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই। তবে মনের জোর হারায়নি সে। দুটো পা না থাকলেও দুটো হাত রয়েছে। তা দিয়ে লিখে এবারে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। তবে এই অসুস্থতা নিয়ে বেশ কষ্ট হয় তার, তবুও কষ্টকে মুখ বুজে সহ্য করছে সে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বরাগেড়িয়া রমানাথ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা ভৌমিক। পরীক্ষার দিনগুলোতে তার বাবা সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে আসে তাকে। সাইকেল স্ট্যান্ড করে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দেয় পর্ষদের তৈরি করা বিশেষ জায়গায়। সেখানেই মেঝেতে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। কলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে এই ছাত্রী। শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মনের সঙ্গে নিরন্তর লড়াই, তবু জীবন যুদ্ধে হার মানেনি সে।
advertisement
সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়ে ওঠা এই মেয়ের যাবতীয় সাহায্য করেন তার বাবা-মা। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসা সাইকেলে চাপিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ে করেন তার বাবা বরুণ ভৌমিক।প্রতিদিন অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের দেখে সে।সে বন্ধুদের নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসে একসঙ্গে।তার এই মনের জোর এবং অদম্য ইচ্ছে শক্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
view comments
বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
ছোটবেলার ক্ষত... দুর্ঘটনায় অকেজো পা, বাবার কোলে চেপে উচ্চমাধ্যমিক দিতে এল মেয়ে!
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement