Teacher: আসানসোলের শিক্ষক পেলেন বিশ্বের সেরা শিক্ষকের সম্মান! কারণ জানলে বাঙালি হিসাবে গর্বে বুক ফুলবে
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Rintu Panja
Last Updated:
৫৭ টি দেশের ২৪৪ জন প্রার্থী ও ৮১ জন্য ফাইনালিস্টের মধ্যে থেকে দীপনারায়ন বাবু 'থ্রী জেনারেশন লার্নিং' মডেলের জন্য বিশ্বজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ‘অ্যাভ্যান্ট গার্ড টিচার’ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ বিভাগে।
আসানসোল, রিন্টু পাঁজা: মালয়েশিয়ার গ্লোবাল এডুকেটর সামিটে প্রথম বাঙালি হিসাবে আসানসোলের শিক্ষক পেলেন বিশ্বের সেরা শিক্ষকের সম্মান। স্বাভাবিকভাবেই তার এই সম্মানে খুশি দেশ তথা বাংলা। শিক্ষক হচ্ছে সমাজ বদলের মূল কারিগর। ছাত্রছাত্রীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের বড় করে তোলাই হচ্ছে প্রধান চাবিকাঠি। আসানসোলের এই শিক্ষক দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেইরকই অভিনব কাজ করে পেলেন বিশেষ সম্মান।
গত কয়েকদিন আগে মালয়েশিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি পেনডিডিকান সুলতান ইদ্রিস (UPSI) ও মালয়েশিয়া সরকার। সেখানে ৫৭ টি দেশের ২৪৪ জন প্রার্থী ও ৮১ জন্য ফাইনালিস্টের মধ্যে থেকে দীপনারায়ন বাবু ‘থ্রী জেনারেশন লার্নিং’ মডেলের জন্য বিশ্বজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ‘অ্যাভ্যান্ট গার্ড টিচার’ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ বিভাগে। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী। শিক্ষক দীপ নারায়ণ নায়েক বলেন “আমি যেভাবে বিশ্ব দরবারে এই কাজটি তুলে ধরেছি, একই ভাবেই আগামীদিনে এই কর্মকাণ্ড চলতে থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে ও সমাজ সংস্কারে যে সমস্ত গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তারাও এগিয়ে আসুন। সকলে একত্রিতভাবে কাজ করলে ভারতের নাম আরও উজ্জ্বল হবে বিশ্ব দরবারে”।
advertisement
আরও পড়ুন: সমুদ্রে বাড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে, বাজারে আসবে টন টন! ইলিশ নিয়ে বিরাট নির্দেশ, মৎস্যজীবীরা মানছেন কতটা
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের শিক্ষক দীপ নারায়ণ নায়েক জামুরিয়া নামু পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষকতা করার পাশাপাশি তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে ‘রাস্তার মাস্টার’ হিসাবে। তিনি এলাকায় এলাকায় পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ নিখরচায় শিক্ষাদান করেন। সেই এলাকাগুলিতে এমন একটি শিক্ষাদানের পদ্ধতি চালু করেছেন, যেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন রাস্তার ধারে দেওয়ালগুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ব্ল্যাকবোর্ড এবং তার উপরে অক্ষর মালা দিয়ে। সেই গ্রামে প্রত্যেকদিন বিকেল পাঁচ’টা হলে ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে তার মা-বাবা ও ঠাকুমা ও ঠাকুরদা উপস্থিত হচ্ছেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেখানে দীপ নারায়ণ বাবু প্রথমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করেন এবং পরবর্তীতে সেই ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মা-বাবা ও ঠাকুমা ঠাকুরদা দের শিক্ষাদান করেন। এইভাবে তিনটি স্তরে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা তিনি করেছেন। স্বভাবতই তার এই শিক্ষাদানের ব্যবস্থা আজ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিশ্ব দরবারে গিয়ে তিনি পেলেন সেরা শিক্ষকের সম্মান।
view commentsLocation :
Asansol,Barddhaman,West Bengal
First Published :
October 10, 2025 12:03 PM IST