Kolkata News: সব ব্যাপারেই শ্বশুরবাড়ির মতামত, রবীন্দ্র সরোবর হত্যাকাণ্ডে স্বামীর বয়ানে স্তম্ভিত পুলিশ!
- Published by:Suman Biswas
Last Updated:
Kolkata News: রবীন্দ্র সরোবরে স্ত্রীকে হত্যার পিছনে পারিবারিক অশান্তি ও শ্বশুরবাড়ির প্রতি তিক্ততা থেকেই এই খুন করে স্বামী অরবিন্দ বাজাজ। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।
#কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবরে স্ত্রীকে হত্যার পিছনে স্বামী - স্ত্রীর পরিবারিক অশান্তি কারণ বলে অনুমান পুলিশের (Murder in Kolkata)। শ্বশুরবাড়ির প্রতি স্বামী অরবিন্দ বাজাজের তিক্ততা আর তার ফলে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত রাগ ও আক্রোশ থেকেই খুন বলে অনুমান পুলিশের (Kolkata Police)।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অরবিন্দকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ করেছিল স্ত্রীয়ের আত্মীয়দের। পারিবারিক অশান্তি, কাজ চলে যাওয়া, স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে বোঝানো ও সংসার ভাঙার পিছনে শ্বশুরবাড়িকে দায়ী করার কথা উল্লেখ করেন অরবিন্দ। তবে নিজের স্ত্রীকে হত্যার পরেও লকআপে রবিবার সকালে পেপার পড়েছেন অরবিন্দ। এমনকী এতটাই অবিচল যে, খাবারও খান সকালে। অনুতপ্ত হওয়ার লেশমাত্র নেই। যা দেখে পুলিশ কর্মীরাও হতবাক।
advertisement
advertisement
ইতিমধ্যে মেয়ের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। কারণ মেয়ে ঘটনার সাক্ষী। মা প্রিয়াঙ্কাকে বাঁচাতে গিয়ে মেয়েও আহত হন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় বছর কুড়ি আগে প্রিয়াঙ্কা ও অরবিন্দ বাজাজের বিয়ে হয় দেখাশোনা করে। প্রিয়াঙ্কার বাবার কোম্পানিতে কাজ করত অরবিন্দ। কিন্তু কয়েক বছর আগে সেই কাজও হাতছাড়া হয়। প্রিয়াঙ্কা মেয়ের উৎসাহে কুকিজের ব্যবসা করতেন। কাজ হারিয়ে বাড়িতে থাকত অরবিন্দ। মাঝে মধ্যেই চলত অশান্তি। অরবিন্দ মদ খেত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
advertisement
কী কারনে এই খুন? পুলিশ সূত্রে খবর, দীপাবলি উপলক্ষে আলমারি থেকে বাসন নামাতে বলে অরবিন্দ। তখন প্রিয়াঙ্কা বলে তাঁর কাছে চাবি নেই। ওই আলমারির এমনই লক যে দুটো চাবি ম্যাচ না করলে খোলে না। এরপর প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে অরবিন্দর ঝামেলা বাড়তে থাকে। প্রিয়াঙ্কা বলেন চাবি তাঁর বাবার কাছে আছে। এরপরই রেগে গিয়ে অরবিন্দ এলোপাথারি কোপাতে থাকে প্রিয়াঙ্কাকে। মেয়ে অদ্ভিকা বাঁচাতে গেলে তাকেও আঘাত করে অরবিন্দ। চিৎকার শুনতে পায় নিরাপত্তারক্ষী। আশপাশের লোকরা চিৎকার শুনতে পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে দেখতে যেতে বলে।
advertisement
নিরাপত্তারক্ষী জানান, "শনিবার আটটা নাগাদ চিৎকার শুনে পুলিশকে নিয়ে উপরে তিন তলায় গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে মা ও মেয়ে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝে মধ্যে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হত। "পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে হত্যা ও মেয়েকে আহত করার পর স্বামী অরবিন্দ নিজে ১০০ ডায়ালে ফোন করে সব জানান। ঘটনাস্থল থেকে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রক্ত মাখা ছুড়ি। প্রিয়াঙ্কার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের দাবি, অরবিন্দ নিজেই কাজ ছেড়ে দিয়ে দুবছর ধরে বাড়ি বসে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অরবিন্দর শ্বশুর বাড়ির প্রতি তিক্ততা, স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা ও তিক্ততা থেকেই এই পরিণতি। এর পিছনে আর কোন কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।
view commentsLocation :
First Published :
November 01, 2021 10:18 AM IST