#কলকাতা: প্রতিদিন রাজ্যে দুধ উৎপাদন হয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ লিটার।প্রত্যক্ষভাবে দুধ উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৫০০০০ পরিবার। অসংগঠিত শিল্পেপরোক্ষভাবে দুধ উৎপাদনে যুক্ত ৩০০০০০ মানুষ। কমপক্ষে ৩.৫ লাখ পরিবারের রুজিরোজগার দুধ থেকে।
আমাদের রাজ্যে ১৫ লক্ষ লিটার দুধ ব্যবহৃত হয় ডেয়ারি শিল্পে। আর ১৭-২০ লক্ষ লিটার দুধ যায় সরাসরি মিষ্টি শিল্পে। এরপর বাকি দুধ ডোমেস্টিক কাজে ব্যবহৃত হয়। নিত্যদিনের পরিবারের জন্য লাগে ২৫-৩০ লক্ষ লিটার দুধ।
মিল্ক ফেডারেশন সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে ৩.৫ লক্ষ পরিবারের রুজি রুটি আজ করোনা কারণে বেসামাল হতে বসেছে। রাজ্য সরকার মানবিক দৃষ্টি দিয়ে মিষ্টির দোকান খোলা রাখার ওপর ছাড় দিয়েছে লকডাউন পর্বে। তাতে সুরাহা হয়েছে অনেকটাই তবে দুশ্চিন্তার মেঘ কাটছে না তাতে।
প্রতিদিন ৯-১২ কোটি টাকার ব্যবসা দুধ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। লম্বা লকডাউন অনিশ্চয়তা তৈরি করছে লক্ষ্য লক্ষ্য অসংগঠিত শ্রমিককে। সারা রাজ্যে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী রয়েছেন ১.১০ লক্ষ। বড় ব্যবসায়ী বা আউটলেট ২০০০-২৫০০।
প্রতিদিন মিষ্টান্ন ব্যবসা হয় ১৫-২০ কোটি টাকার। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা গেলেও বাজর জমছে না। তৈরি মিষ্টি নষ্ট হতে বসেছে। সারা রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধক্ষ্য সম্রাট দাসে'র কথায়, " হাওড়া ট্রেন লাইন দিয়ে অধিকাংশ ছানা আসে কলকাতায়। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছানা আনতে অসুবিধা হচ্ছে। ছানা ছাড়া মিষ্টি তৈরির উপকরণ হিসেবে লাগে একাধিক বস্তু। সেই জিনিস গুলি সংগ্রহ করতে লকডাউনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
সরকার এই বিষয়গুলি একটু খতিয়ে দেখলে ভালো হয়।"কে সি দাসের ধীরাজ দাস বলছেন, " দুপুর ১.৩০ পর ইলাকা শুনশান হয়ে যাচ্ছে। বিকেল চারটে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা থাকছে না। দুপুর ১২ টা'র পরিবর্তে দোকান খোলার সময় এগিয়ে আনলে মিষ্টি বিক্রি বাটা ভালো হয় একটু।"মিষ্টি ব্যবসার সঙ্গে রাজ্যের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ যুক্ত। দুধ এবং মিষ্টি মিলিয়ে সারা রাজ্যে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের রোজনামচায় বড় প্রশ্ন চিহ্ন সামনে এনে দিয়েছে লম্বা লকডাউন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, COVID-19, Lockdown, Milk Business, Sweet Business