কোচবিহার: মিড ডে মিল খাওয়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। শৌচালয়ের অবস্থাও তথৈবচ। ছোট ছোট বাচ্চারা শৌচকর্ম করার পর অনেকটা দূর থেকে জল নিয়ে এসে পরবর্তী প্রক্রিয়ার সারতে হয়! মাত্র দুটি শ্রেণিকক্ষে পাঁচটি ক্লাসের পড়াশোনা হয়। এভাবেই গুচ্ছখানেক সমস্যা নিয়ে দিনের পর দিন চলছে আসছে বামনহাটের দুর্গানগর নিউ প্রাইমারি স্কুল। বা বলা ভালো জোর করে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একাধিক পরিকাঠামোগত সমস্যা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁরা এই প্রাথমিক স্কুলটির হাল ফেরানোর দাবি তুলেছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিস্তীর্ণ এলাকার বাচ্চাদের একমাত্র ভরসা এই প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু এখানকার পরিকাঠামো ও পরিবেশ যথেষ্ট হতাশজন। দ্রুত এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত না হলে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ অথৈ জলে পড়বে।
আরও পড়ুন: ফাগুয়ার সুরে মাতোয়ারা হিন্দমোটরে দোল আজ কেবলই স্মৃতি, বিলি হত গরম গরম জিলিপি ও ঠান্ডাই
দুর্গানগর নিউ প্রাইমারি স্কুলের সহ-শিক্ষক বিশ্বজিৎ সাহা এই প্রসঙ্গে জানান, পর্যাপ্ত শেডের ব্যবস্থা না থাকায় পড়ুয়াদের একপ্রকার বাধ্য হয়ে স্কুলের বারান্দায় মিড ডে মিল খাওয়াতে হচ্ছে। তাছাড়াও স্কুলের পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাব ও শৌচালয়ের সমস্যার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। তিনিও অভিযোগ করেন, বারবার এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র দু'জন পুরো বিদ্যালয় সামলাচ্ছেন। এদিকে বর্ষার সময় বারান্দায় বসে মিড ডে মিল খেতে গিয়ে পড়ুয়াদের ভিজে যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে স্কুলটির হাল না ফিরলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
সার্থক পণ্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।