Cooch Behar: কোচবিহারে ধরলার গ্রাসে একাধিক আবাদি জমি ও গ্রাম
Last Updated:
গোটা উত্তরবঙ্গে একটানা বৃষ্টি কমে গেলেও বিভিন্ন নদীতে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত! দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে একাধিক বাসিন্দার। এমন ঘটনার ছবি চোখে পড়ছে ধরলা নদীতেও।
কোচবিহার: গোটা উত্তরবঙ্গে একটানা বৃষ্টি কমে গেলেও বিভিন্ন নদীতে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত! দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে একাধিক বাসিন্দার। এমন ঘটনার ছবি চোখে পড়ছে ধরলা নদীতেও। গিতালদহ ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দরিবশ কলোনি ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে ধরলা নদী। নদীর গ্রাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক চাষের জমি। আর এই গ্রাসের করুণদৃশ্য নদীরপাড়ে বসে মাথায় হাত দিয়ে দেখছে কৃষক এবং বাসিন্দারা। এমন নিদারুণ দৃশ্য এতদিন অবধি সাহিত্য বা চলচ্চিত্রে উপলব্ধ হলেও এবার সেই বাস্তব অভিজ্ঞতার স্বীকার হচ্ছেন গিতালদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দরিবশ কলোনি ও তার পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন। বিগত কিছু দিনের প্রবল বর্ষণের জেরেই মারাত্মক আকার নিয়েছে ধরলা নদী। একদিকে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় যেমন প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক এলাকা, ঠিক তেমনি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। প্রতিবছর এই ধরলা নদীর জলের তোরে নদীভাঙন হলেও এবার তা নিয়েছে ভয়াবহ আকার।
advertisement
ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেচ দপ্তরের বানানো পাথরের বাঁধ, ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ করা মাটির বাঁধও। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা ও এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, \"সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর যদি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আরও দেরি হয়। তবে অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে গ্রামের কয়েকশ বাড়ি সহ বহু চাষের জমি\"। তবে নদী ভাঙন মারাত্মক আকার নিলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক স্তরে তেমন তৎপরতা না দেখে বাড়ছে ক্ষোভ।
advertisement
গীতালদহ ২ নং অঞ্চল পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ রায় জানান, \"গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে সেটার অনেকটাই বিলীন হয়ে গিয়েছে। এমনকি সেচ দফতরের বানানো পাথরের বাঁধও ভেঙে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন এবং সেচ দফতর যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে গ্রামটি\"।
advertisement
শুধু দরিবশ কলোনি নয় ইতিমধ্যেই ধরলার করাল গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত জারিধল্লা, মদনাকূরা সহ একাধিক গ্রাম। নিজের সর্বস্ব ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। অপরদিকে এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিধায়ক সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের দেখা না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা।
advertisement
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
First Published :
June 24, 2022 6:27 PM IST
