কোচবিহার: বারবার নদী ভাঙন রোধের জন্য দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এই বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসনের একটুও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। মাতালহাট পঞ্চায়েতর ভুতকুরা গ্রামের কান্তির খেওয়া এলাকার ঘটনা। সেখানে নদীর ভাঙন সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে ভাঙন প্রতিরোধের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কাজ না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কট করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: প্রাইমারি থেকেই নবীন বরণ, শিক্ষার্থী সপ্তাহ উদযাপনে আর কী কী থাকছে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে প্রথম একটু নদী ভাঙন প্রতিরোধের সামান্য কিছু কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ আর এগোয়নি। তবে দীর্ঘ এই অবহেলা আর সহ্য করতে রাজি না গ্রামবাসীরা। চাষের জমি, বাড়িঘর সব নদী গর্ভে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তবুও হুঁশ ফিরছে না জেলা প্রশাসনের। গ্রামবাসীদের মতে, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের এটাই আদর্শ সময়। তাই তাঁরা কোনও মতেই আপস করতে আর রাজি নন।
এই এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়া ধরলা নদীর ভাঙনের জেরেই জেরবার হয়ে রয়েছেন বেশ কিছু গ্রামবাসী। বিগত বেশ কয়েক বছরে চাষ জমি সহ বেশ কিছু জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এই এলাকায় নদীর একদম কাছেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা স্কুল। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা দ্রুত বাঁধ তৈরি না হলে এই মাদ্রাসা স্কুলটিও নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াসিন আলি জানান, আগে থেকেই বুড়া ধরলা নদীর ভাঙনের জেরে এই এলাকার বেশ কিছু মানুষের চাষের জমি ও বাড়ি নদীতে চলে গিয়েছে। একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও রকমের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই আসন্ন বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই তাঁরা এই ভাঙন সমস্যার সমাধান চাইছেন। এদিকে গ্রামবাসীদের ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারির বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
সার্থক পণ্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar