#নয়াদিল্লি: নিরাপত্তা এবং মেয়াদ শেষে রিটার্ন। টাকা রাখার আগে এই দুটো জিনিসই মাথায় রাখেন বিনিয়োগকারীরা। এক্ষেত্রে প্রথম সারিতেই আসে পোস্ট অফিসের নাম। তাছাড়া মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে স্বল্প সঞ্চয়ে মাঝে মধ্যেই সুদ কমাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। সেদিক থেকেও পোস্ট অফিসের বিকল্প নেই। এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্কের থেকে বেশিই সুদ মিলছে ডাকঘরে।
আরও পড়ুন: দেশে আর ঘটবে না রেল দুর্ঘটনা! ‘কবচ প্রযুক্তির’ মাধ্যমে সুরক্ষিত হবে যাত্রা
পোস্ট অফিসের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। যেখানে টাকা রাখলে মেয়াদ শেষে হাতে আসবে মোটা অঙ্কের টাকা। যাদের মধ্যে অন্যতম পিপিএফ, এনএসসি-র মতো প্রকল্প। অধিকাংশ ব্যাঙ্কেই ১ থেকে ১০ বছরের মেয়াদে স্থায়ী আমানতে সুদের হার ৫ থেকে ৬ শতাংশ। প্রবীন নাগরিকরা এর উপর ০.৫ শতাংশ অতিরিক্ত সুদ পান। অন্যদিকে পোস্ট অফিসে একই মেয়াদে সুদের হার ৫.৫ থেকে ৭.৬ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ পোস্ট অফিসের প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে ব্যাঙ্কের থেকে বেশি সুদ মিলবে। এখানে পোস্ট অফিসের সেরা ৫টি প্রকল্পের কথা জানানো হল, যেখানে উচ্চ হারে রিটার্ন তো মিলবেই সঙ্গে পাওয়া যাবে ৮০ সি ধারায় ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধাও।
আরও পড়ুন: এই শহরে ৮২.৯৬ টাকায় মিলছে পেট্রোল, দেখে নিন আপনার শহরে জ্বালানির দর
১। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ: এটা ১৫ বছরের প্রকল্প। মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা রাখতে হয়। তবে বিনিয়োগকারী চাইলে ৫ বছর পর এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। তবে পিপিএফে বেশ কিছু সুবিধে আছে যা অন্য প্রকল্পে মেলে না। যেমন, ৪ বছর পর বিনিয়োগকারী ঋণ পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, ৭ বছর পর বিনিয়োগ করা টাকা আংশিক তুলে নেওয়ার সুবিধাও আছে। এক অর্থবর্ষে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা যায়। বর্তমানে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৭.১ শতাংশ। ৮০ সি ধারায় যা করমুক্ত।
২। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা এনএসসি: পাঁচ বছরের মেয়াদে বিনিয়োগ করতে চাইলে সেরা পছন্দ হতে পারে পোস্ট অফিসের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট। এই স্কিমে বর্তমানে ৬.৮ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যচ্ছে। যেখানে ব্যাংকে ৫ বছর মেয়াদের আমানতে সুদের হার অনেক কম। পরিষেবা এবং প্রযুক্তির দিক থেকে পোস্ট অফিসের তুলনায় অনেকেই ব্যাঙ্কগুলিকে এগিয়ে রাখেন। কিন্তু এনএসসি-র ক্ষেত্রে নিয়মিত পরিষেবার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। সাধারণত এটি একবারই কিনতে হয় এবং একবার ভাঙাতে হয়।
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ে ৩০ শতাংশ কর, ডিজিটাল সম্পদ নিয়ে বড় ঘোষণা নির্মলার
৩। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: বছরে অন্তত ২৫০ টাকায় মেয়ের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করে এই স্কিম। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা বাজারের বেশিরভাগ স্বল্প সঞ্চয় স্কিমের থেকে বেশি রিটার্ন দেয়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বছরে ন্যূনতম ২৫০ টাকা রাখতে হবে আমানতকারীকে। বছরে চাইলে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা জমা রাখা যাবে অ্যাকাউন্টে। এই স্কিমের মূল আকর্ষণ হল সুদ। ৭.৬ শতাংশ হারে ইন্টারেস্ট মিলবে। মোট ১৫ বছর টাকা দিতে হয় সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায়। পরবর্তী ৬ বছর টাকা না দিলেও সুদ পাবেন আমানতকারী।
৪। টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বা টিডি: এই প্রকল্পের আওতায় এক বছর, দু'বছর, তিন বছর এবং পাঁচ বছরের জন্য টাকা জমা দিতে পারবেন বিনিয়োগকারী। এক বছরের মেয়াদের ফিক্সড ডিপোজিটে ৫.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। দু'বছর এবং তিন বছরের মেয়াদের স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রেও সুদের হার ৫.৫ শতাংশ। তবে পাঁচ বছরের ক্ষেত্রে সেই হার বেড়ে ৬.৭ শতাংশ হয়। প্রতি বছরে সুদ প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে প্রতি ত্রৈমাসিক সুদের হিসাব করা হয়। পোস্ট অফিসে পাঁচ বছরের মেয়াদে ফিক্সড ডিপোজিট করলে ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৮০ সি আওতায় বিশেষ সুবিধা পান উপভোক্তারা।
৫। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম: বয়স্কদের জন্যেএই প্রকল্পের জুড়ি নেই। ৫ বছরের মেয়াদে গচ্ছিত আমানতে ৭.৪ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্ক তো দূরের কথা, বড় কোনও বেসরকারি ব্যাঙ্কও এই হারে সুদ দিচ্ছে না। স্বল্প সঞ্চয়ে ভালো রিটার্ন চাইলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য আদর্শ প্রকল্প হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।