#নয়াদিল্লি: আর্থিক ক্ষেত্রেও অনেক সময়েই দিশাহারা দশা হয়। বিশেষ করে যখন বিনিয়োগের কোনও স্থির লক্ষ্য থাকে না, আয় সীমিত হয় অথচ আর্থিক পরিকল্পনা থাকে অনেক (Financial Planning)।
একজন বিনিয়োগকারী জানাচ্ছেন, তাঁর বড় ছেলে এবং ছোট ছেলের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতি মাসে যথাক্রমে ২৫ হাজার এবং ১৫ হাজার, বাড়ি কেনার জন্য ডাউন পেমেন্ট ৫০ হাজার এবং অবসরকালীন তহবিলের জন্য প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে চান। সব মিলিয়ে বিনিয়োগের জন্য প্রতি মাসে তাঁর দরকার ১.২ লক্ষ টাকা। অথচ তাঁর মাসিক আয় ১.৮ লক্ষ টাকা। মাসিক খরচ ১ লক্ষ। তাহলে সব খরচখরচা বাদ দিয়ে তাঁর হাতে থাকছে মাত্র ৮০ হাজার টাকা। তাহলে লক্ষ্যপূরণ কীভাবে সম্ভব?
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের মেয়াদ শেষের পর পিপিএফ অ্যাকাউন্টে কী করবেন? এখনই করুন পরিকল্পনা!
আরও পড়ুন: বাড়ানো হল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার সময়সীমা
তাহলে উপায়? অনেকে উচ্চতর আয়ের জন্য বিনিয়োগ করতে বলেন। তাহলে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। সেটা কীরকম? যদি কোনও বিনিয়োগে উচ্চ সুদে রিটার্ন পাওয়া যায় তাহলে বিনিয়োগের অঙ্ক কমে আসে। যদি ২০ শতাংশ রিটার্ন ধরা হয় তাহলে ১.২ লক্ষ টাকা থেকে কমে মাসিক বিনিয়োগ ৭৫ হাজার টাকায় চলে আসবে। কিন্তু এটা কী সম্ভব? একদমই নয়। পরপর কয়েক বছর ধরে ২০ শতাংশ হারে টানা সুদ পাওয়ার কথা ভাবা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।
এখন কী করণীয়? খরচ কমাতেই হবে। একলপ্তে মাসিক খরচ কমানোটা শক্ত। কিন্তু দুটি বা তিনটি ক্ষেত্রে খরচে কাটছাঁট করতে পারলেই বিষয়টা সহজ হয়ে যাবে। কোন ক্ষেত্রে খরচ কমালে ভালো হবে সেটা নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোনটাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, সেটা মাথায় রাখতে হবে। একদিন না একদিন বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াতেই হবে। মাথায় রাখতে হবে, অবসর ছাড়া সব কিছুতে ঋণ পাওয়া যায়। সন্তানের চাহিদা পূরণের থেকেও অবসর কালের জন্য সঞ্চয় করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এটা বিতর্কিত শোনালেও রূঢ় সত্য।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment