#নয়াদিল্লি: বেঙ্গালুরু বেসড ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে ২০২১ সালে ওয়াজিরএক্স-এর (WazirX) ট্রেডিং ভলিউম ৪৩ বিলিয়ন ডলার পার করে গিয়েছে। এছাড়াও ২০২১ সালের সবথেকে বেশি ট্রেডেড ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন (Bitcoin), টেদার (Tether), শিবা ইনু (Shiba Inu), ডোজকয়েন (Dogecoin), ওয়াজিরএক্স টোকেন (WazirX Token) এবং ম্যাটিক (Matic)। বেঙ্গালুরু বেসড ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সেই রিপোর্টের নাম হল ‘‘হাইলাইটস অ্যান্ড অবজারভেশন ফ্রম ২০২১, দ্য ইয়ার অফ ক্রিপ্টো।’’ এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে ওয়াজিরএক্স-এর ইউজার বেস হল প্রায় ১০ মিলিয়ন (WazirX 2021 survey)।
ওয়াজিরএক্স এই ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) নিয়ে একটি সার্ভে করে। সেই সার্ভেতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ৪৪ শতাংশ বিনিয়োগের মধ্যে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে। এর মধ্যে নতুন মহিলা সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০০৯ শতাংশ এবং পুরুষ সদস্যের সংখ্যা ৮২৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এই রিপোর্টে বলা হয়েছে মহিলারা বেশি পরিমাণে ট্রেড করছে বিটকয়েন। অন্য দিকে পুরুষেরা বেশি পরিমাণে ট্রেড করছে শিবা ইনুতে। ওয়াজিরএক্স-এর সেই সার্ভেতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ওয়াজিরএক্স-এর ৬৬ শতাংশ ইউজারের বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার এগিয়ে চলেছে তেজ গতিতে। ৫৪ শতাংশ ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারকে নিজের কেরিয়ার বানাতে চায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টো স্পেস, অন্ত্রেপ্রেনারশিপ, ফিনান্স এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের মতো বিষয়। ওয়াজিরএক্স-এর ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে করা সার্ভের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টায়ার-১ শহরগুলোতে, যেমন- গুয়াহাটি, করনল এবং বরেলির মতো ছোট ছোট শহর।
আরও পড়ুন-হোটেলের রুমে একা ছিলেন বিমানসেবিকা, হঠাৎ এসি মেশিনের দিকে নজর যেতেই চমকে উঠলেন!
২০২১ সালে ওয়াজিরএক্স-এর এনএফটি মার্কেটপ্লেস ক্রিয়েটর প্রায় ৯৬২ এর বেশি এবং মিন্ট ১২,৬০০ এনএফটি। এর মধ্যে ২৬২,৮৯৬ থেকে সেল করা হয়েছে ৫২৬৭ এর বেশি। ওয়াজিরএক্স-এর সিইও নিশ্চল শেঠি জানিয়েছেন যে, বর্তমানে অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে একটি অল্টারনেটিভ অ্যাসেট হিসাবে গ্রহণ করা শুরু করেছে। ভারত সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের চুক্তি করা সম্ভব হবে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ভারত বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে নিজের জায়গা করে নিতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে। সরকার যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সঠিক নীতি এবং আইন প্রণয়ণ করে, তাহলে ভারতের ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার আরও অনেকটা চাঙ্গা হতে পারে। ভারত সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পকেও সাহায্য করতে পারে এই ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bitcoin, Cryptocurrency