বীরভূম: সতীঘাটায় গড়ে উঠবে নতুন জলকল। সিউড়ি পুরসভায় জলের টাকা বরাদ্দ করে প্রতিশ্রুতির ঋণ শোধ করলেন পুরমন্ত্রী। সিউড়ি শহরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প জলস্তরের সন্ধান পেল পুর ইঞ্জিনিয়র দফতর। ময়ূরাক্ষী নদীর পাশেই এবার সতীঘাটা এলাকায় তৈরি হবে নতুন জলস্তরের ঠিকানা।
সেখানেই জলকল তৈরির জন্য সিউড়ি পুরসভাকে প্রায় ছ’কোটি সাড়ে তিনলাখ টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, ‘বিধানসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে সিউড়ির জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিই। এবং তিনি অর্থ বরাদ্দ করেছেন।’ সিউড়ির পুরপ্রধান প্রণব কর জানান, ‘বৃহস্পতিবার অনুমোদন চলে এসেছে। এবার আমরা বাকি কাজ শুরু করে দেব।আশা করছি আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ‘ডেডিকেটেড রাইজিং মেইন’ লাইন আমরা পেয়ে যাব। যাতে সিউড়িতে জলের চাহিদা কিছুটা পূরণ হবে।’
সমীক্ষক দল সিউড়ি ঘুরে দেখেন। পুর কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন। যাতে ধরা পরে সিউড়ি শহরে জলের মূল সমস্যা জল যোগানের ঘাটতি। কারন ব্রিটিশ আমল থেকে ময়ূরাক্ষী নদীর উপর জোকার কাছে জলকল থেকেই সিউড়ি শহরে জল আসে। কিন্তু সেখানে ইট ভাটার দাপট, বালি ঘাটের উতপাতের জেরে আর জলের মেশিন সময়ে খুঁজে পাচ্ছে না জলকলের কর্মীরা। একইসঙ্গে ময়ূরাক্ষী নদী জোকা এলাকা থেকে সরে সরে যাচ্ছে। সিউড়ি পুরসভার জলবিভাগের ইঞ্জিনিয়র রণবীর কর্মকার জানান, ’গত মাসের যৌথ সমীক্ষায় আমরা সতীঘাটার কাছে তিনটি জল তোলার নতুন স্তর করতে চাইছি। সেই মতন আমরা প্রকল্প রচনা করে পাঠায়। তারই অনুমোদন করে টাকা পাঠিয়েছে পুর দফতর।’ তিনি জানান, ‘টাকা বরাদ্দ হওয়ায় আমরা চলতি সপ্তাহে জলস্তরের সন্ধানে খনন শুরু করব। উল্লেখ্য প্রকল্প পরিকল্পনায় ব্যয়বরাদ্দ ধরা হয় ৬ কোটি ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা।’
প্রণব কর জানান, ‘এখনও শহরে ২, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের অসুবিধা আছে। এছাড়া আংশিকভাবে ৩, ১০ , ১৩ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল পৌঁছাতে হবে। পুরমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় এবার শহরবাসী পর্যাপ্ত পানীয় জল পাবেন। একইসঙ্গে শহরবাসীর কাছে পুরমন্ত্রীর কথার ঋণও শোধ হবে।’
Subhadip Pal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum news