Bankura: বড়জোড়া রেঞ্জে এল নতুন বারোটি হাতির দল! ভয়ে কাঠ গ্রামবাসীরা
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
আবারও হাতি আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। শনিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পাঞ্চেৎ বন বিভাগ হয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বড়জোড়া রেঞ্জ এলাকায় নতুন করে ঢুকে পড়ল বারোটি হাতির দল।
#বাঁকুড়া : আবারও হাতি আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। শনিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পাঞ্চেৎ বন বিভাগ হয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বড়জোড়া রেঞ্জ এলাকায় নতুন করে ঢুকে পড়ল বারোটি হাতির দল। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পাবয়া, ডাকাইসিনী, বনশোল সহ বেশ কয়েকটি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। তবে হাতিগুলির গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে জানিয়েছে বনদপ্তর। বেশ কিছুদিন ধরে তিনটি রেসিডেনসিয়াল হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বড়জোড়া বেলিয়াতোড় গঙ্গাজলঘাটি সহ বাঁকুড়া উত্তর রেঞ্জের একাধিক গ্রাম। প্রায় দিনই গ্রামে হানা দিচ্ছে হাতি। ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি থেকে বাড়িঘর। এমনকি দরজা ভেঙ্গে হাতি হানা দিচ্ছে মিড ডে মিলে।
advertisement
যাতে হাতি বড়জোড়া রেঞ্জ সংলগ্ন একাধিক গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে বনদফতরের পক্ষ থেকে একদিকে যেমন ফেন্সিং তারের বেড়া দেওয়া হয়েছে, অপরদিকে জেসিবি দিয়ে খাল কাটার কাজ চলছে যাতে কোনও ভাবেই হাতি গ্রামের প্রবেশ করতে না পারে এবং কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে। তবে নতুন করে ১২ টি হাতির আগমনে সিন্দুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন উত্তর বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। আপাতত বাঁকুড়া বড়জোড়া রেঞ্জের বাঁধকানা জঙ্গলে রয়েছে হাতির নতুন এই দলটি। গ্রামবাসীদের দাবি নতুন করে হাতির দলের আগমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রাম জুড়ে। গ্রামের ফসল এবং গ্রামের বাড়ি যাতে হাতি ক্ষতি করতে না করতে পারে সেইজন্য তারা নিজেরা দিনে এবং রাত্রে পাহারা দিচ্ছেন।
advertisement
তবে বনদফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। বনদফতর সূত্রে জানা যায় এই বারোটি হাতির দল যাতে কোনওভাবেই গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে সেই জন্য বনবিভাগের শতাধিক কর্মী বাঁধকানা জঙ্গল এলাকায় হুলা জ্বেলে টহল দিচ্ছেন। গ্রামবাসী এবং হাতির দলের যাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেই দিকে কড়া নজর রেখে চলেছে বনবিভাগ। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন আধিকারিক উমর ইমাম বলেন নতুন এবং পুরনো উভয় হাতিগুলির দিকেই নজর রাখা হচ্ছে।
advertisement
এই হাতিগুলি দেখাশোনার জন্য বন বিভাগের শতাধিক কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হাতি গুলিকে কীভাবে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে বড়জোড়া জঙ্গল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করে বন বিভাগ। তাহলে হয়তো একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে গ্রাম সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
Joyjiban Goswami
view commentsLocation :
First Published :
August 31, 2022 2:28 PM IST