<h2><strong>মহা শিবরাত্রি </strong></h2>
<h3><strong>মহা শিবরাত্রি 2023 তিথি</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী</span></p>
<h3><strong>ধর্ম</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">হিন্দু</span></p>
<h3><strong>আরাধ্য দেবতা</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">মহাদেব</span></p>
<h3><strong> পূজা সময়</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">সন্ধ্যাকাল, সারা রাত</span></p>
<h3><strong> তাৎপর্য</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">‘শিবরাত্রি’ শব্দটি থেকেই বোঝা যায় এই ধর্মীয় উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দু’টি অনুষঙ্গ— ‘শিব’ ও ‘রাত্রি’। অর্থাৎ, শিবের জন্য রাত্রি। ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা মনে করেন এই বিশেষ চতুর্দশী তিথিতে আদিদেব মহাদেবের আরাধনা করলে ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ- এই চতুর্বিধ ফল লাভ হয়।</span></p>
<h3><strong> পুরাণ কথা</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">শিবরাত্রিকে কেন্দ্র করে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। একটি মত অনুসারে এই রাতেই দেবী পার্বতীর সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেবের মিলন হয়।</span><span style="font-weight: 400;"> শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও আদিশক্তি বা পরাপ্রকৃতির মিলন।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">অন্য মতানুসারে এই তিথিতেই প্রকট হয়েছিল আদি শিবলিঙ্গ। </span><span style="font-weight: 400;">মহাদেব শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপনাশ ও মুক্তির পথ দিয়েছিলেন।</span><span style="font-weight: 400;"> পুরাণ বলে</span><span style="font-weight: 400;">, একবার ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর মধ্যে প্রবল লড়াই বেঁধেছিল শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে৷ তা দেখে মহাদেব ক্রোধাণ্বিত হন, সেই ক্রোধ ব্রহ্মাণ্ডের সমান এক অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় ব্রহ্মা ও বিষ্ণু সেই অগ্নিগোলকের উৎস সন্ধান করতে শুরু করেন। কিন্তু বিফল হন। তখন মহাদেব লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হলে পুজো করেন বিষ্ণু এবং ব্রহ্মা৷</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">আবার মনে করা হয় ব্রহ্মা নিজে মহাশিবরাত্র্রিতে শিবের রূদ্র রূপ প্রকাশ করেন। শিবমহাপুরাণ অনুসারে এই রাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">অনেক মত অনুসারে সমুদ্র মন্থনে যে হলাহল উত্থিত হয় তা থেকে সৃষ্টিকে রক্ষা করতে বিষ নিজ কণ্ঠে ধারণ করে এ রাতেই নীলকণ্ঠ হয়েছিলেন মহাদেব।</span></p>
<h3><strong> তিথি মাহাত্ম্য</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">প্রতিমাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীকেই মহাদেবের তিথি হিসেবে মনে করা হয়। সব ক’টিই শিবরাত্রি। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে পালিত হয় মহা শিবরাত্রি।</span></p>
<h3><strong> ব্রতকথা</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">শিব পুরাণ অনুসারে, অতি প্রাচীনকালে বারাণসীতে এক নিষ্ঠুর ব্যাধের বাস ছিল। একদিন শিকারে বেরিয়ে জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলে সে। রাতে গাছের উপর আশ্রয় নেয়। সারা দিনের অভুক্ত হতাশা ব্যাধ সারারাত জেগে একটি করে পাতা ছিঁড়ে নিচে ফেলতে থাকে। ঘটনাচক্রে গাছটি ছিল বেলগাছ, আর সে গাছের নীচেই ছিল একটি শিবলিঙ্গ। সে রাতও ছিল মহাশিবরাত্রি। উপবাসী ব্যাধের বেলপাতা শিবলিঙ্গে পড়ায় অজান্তেই তার ব্রত ফল লাভ হয়। পরদিন ব্যাধ বাড়ি ফিরে এসে তার খাবার সে এক অতিথিকে দিয়ে দেয়। এতে তার ব্রতের পারণ ফল লাভ হয়।</span></p>
<p><span style="font-weight: 400;">এর কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে যমদূতরা তাকে নিতে আসে। কিন্তু শিবচতুর্দশী ব্রতের ফল লাভ হেতু শিবদূতরা এসে যুদ্ধ করে যমদূতদের হারিয়ে ব্যাধকে নিয়ে যায়। শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করলে শিব ভক্তের উপর যমের কোনও অধিকার থাকে না। সে মুক্তিলাভ করে।</span></p>
<h3><strong> পালন</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">ভারতের প্রায় সমস্ত রাজ্যেই পালিত হয় শিবরাত্রি।</span></p>
<h3><strong> নেপাল</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">নেপালের পশুপতিনাথ মন্দির সব থেকে বড় উৎসব। সে দেশে এটি জাতীয় ছুটির দিন। মহা শিবরাত্রি নেপালি সেনা দিবস হিসাবে পালিত হয়। শিবকে আদি গুরু হিসাবেও পূজা করা হয় যাঁর কাছ থেকে ঐশ্বরিক জ্ঞানের উদ্ভব হয়।</span></p>
<h3><strong> পাকিস্তান</strong></h3>
<p><span style="font-weight: 400;">করাচির শ্রীরত্নেশ্বর মহাদেব মন্দিরে শিবরাত্রি উৎসবে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন।</span></p>
আরো দেখুন …