আরও পড়ুন: শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম, রাস্তার ‘শব’ নিয়ে গ্রামবাসীদের অবাক কাণ্ড
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মন্দিরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে ১৯১৮ সালে। মুর্শিদাবাদের লালগোলার মহারাজা যোগীন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুর এই মন্দিররের সংস্কার করেন। তখন এই মন্দিরের সংস্কারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী নেতা রায়বাহাদুর বৈকুণ্ঠনাথ সেন। ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের অমিত কুমার ভোঁসলে আবার এই মন্দিরের সংস্কার করেন। মন্দিরটি বিভিন্ন স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে তৈরি। মন্দিরে কার্নিশ সহ চালা, পদ্মফুলের আট পাপড়ি, আট কোণ যুক্ত চূড়া আছে। মন্দিরের চুড়ায় কলস ও ত্রিশূল আছে। যা উল্টো পদ্মের মতো দেখতে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মন্দিরের গায়ে দুর্গা, কালী, রাধামাধব, গণেশ, সিংহ, হাতি, সর্প অঙ্কিত। প্রবেশ পথে মন্দিরের গায়ে রাম-রাবণের যুদ্ধ, কৃষ্ণলীলা, বিষ্ণুর দশাবতার, মহিষাসুরমর্দিনী, ফুল, লতাপাতা আঁকা। মন্দির সংস্কারের ফলে টেরাকোটার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এই মন্দিরের উচ্চতা ৫৭ ফুট। মন্দিরের গর্ভগৃহে আছে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ, যার নাম ব্যাস দেব। এই শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৫ ফুট। সাম্প্রতিককালে মন্দিরটির সৌন্দর্যায়নের যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ পথের পাশেই তৈরি করা হয়েছে বিশাল হরগৌরীর মূর্তি, প্রধান মন্দিরের সম্মুখে তৈরি হয়েছে বিশাল নাট মন্দির। এখানে শিবরাত্রি উপলক্ষে চলে চার দিনব্যাপী উৎসব। বহু দূর দুরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম হয়। এই মন্দিরের উৎসব আজ থেকেই শুরু হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দরা।
কৌশিক অধিকারী