আরও পড়ুন: সুন্দরবনের প্রাথমিক স্কুলে বসল টেলিস্কোপ, শৈশবেই আকাশ চিনবে পড়ুয়ারা
এমন নজির গড়া পদক্ষেপ অবশ্য এই প্রথম নয়। তেইশ বছরে পড়ল দাঁতনের সুন্দরপুর শিবমনি যোগাশ্রমের এমন উদ্যোগ। এই প্রসঙ্গে আশ্রমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা যন্ত্র তৈরি করেছেন বা কারিগর তাঁরাই আসল বিশ্বকর্মা। তাই তাঁদের সম্মান জানানো উচিত। সেই ভাবনা থেকেই মঙ্গলবার চারজন শ্রমজীবী মানুষকে দেবতা জ্ঞানে সম্মান জানানো হয়। যাদের এদিন সম্মান জানানো হল তাঁদের মধ্যে কেউ ছুতোর, কেউ বাসের চালক আবার কেউ মৃৎশিল্পী। একজন রাজমিস্ত্রিও আছেন।
advertisement
বেলদার ঠাকুরচকের দীপ্তেন্দু দত্ত বাসের কন্ডাক্টর ও চালক। মৃৎশিল্পী কেদারচন্দ্র জানা কাঠের মূর্তি তৈরি করেন। দাঁতনের কাকরাজিতের গোষ্ঠবিহারী দাস পেশায় রাজমিস্ত্রি। বিনয় জানা ছুতোর। এঁদেরকেই মানব বিশ্বকর্মা রূপে সম্মান জানিয়েছে আশ্রমটি। এদিনের কর্মসূচিতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। আশ্রম পরিচালক অনিল প্রধান বলেন, বিশ্বের সমস্ত কর্ম যিনি সম্পন্ন করেন তিনিই বিশ্বকর্মা। বর্তমানে বিশ্বের সমস্ত কাজ করছেন কে? সেই মানুষ। তাই মানুষই আসল দেবতা। কাঠের বা মাটির মূর্তিতে ফুল দেওয়ার পাশাপাশি মানুষকে একদিন আরাধনা করে শ্রদ্ধা জানানো হল।
রঞ্জন চন্দ