এদিকে, এর ফলে ডিসেম্বর মাসের উৎসব ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আবহে চরম সমস্যায় পড়লেন সাধারণ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হল ব্যাংকের বিভিন্ন কাজেরও(Bank Strike)। প্রসঙ্গত, বুধবার সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছিল ব্যাংক কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। সেই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে না আসায় ধর্মঘটের কথা নিশ্চিতভাবে ঘোষণা করা হয়। সারা দেশের সাথে সাথে রাজ্যে তথা মেদিনীপুরেও পালিত হচ্ছে এই ব্যাংক ধর্মঘট।
advertisement
উল্লেখ্য যে, সরকারি খাতের দু'টি ব্যাংক বেসরকারীকরণের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ থেকে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের প্রায় নয় লাখ কর্মচারী ধর্মঘট করছেন। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) সহ বেশিরভাগ ব্যাংক ইতিমধ্যেই তাদের গ্রাহকদের চেক ক্লিয়ারেন্স এবং ফান্ড ট্রান্সফারের মতো ব্যাংক অপারেশনগুলিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, বলে জানিয়েছে। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডারেশন (AIBOC) এর সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত বলেছেন, "বুধবার অতিরিক্ত প্রধান শ্রম কমিশনারের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে, তাই ব্যাংক ইউনিয়নগুলি ধর্মঘট করছে।"
এদিকে, চলতি মাস শেষ হতে আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। এই বাকি ১৫ দিনে দেশের কিছু অংশে (সব রাজ্যে সমানভাবে প্রযোজ্য নয়) ১০ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক (Bank Strike)। আজ ও আগামীকাল সারা দেশে ব্যাংক কর্মচারীদের ধর্মঘট রয়েছে। শনিবার ব্যাংক খোলা। তবে, স্থানীয় ছুটির কারণে ১৮ ডিসেম্বর শনিবার মেঘালয়ে ব্যাংকগুলি বন্ধ থাকবে। আগামী সপ্তাহেও অনেক ছুটি রয়েছে। বড়দিনের কারণে মিজোরামে ২৪ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলি বন্ধ থাকবে। এরপর, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং মাসের চতুর্থ শনিবার সারাদেশে ব্যাংকের কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। ২৬ ডিসেম্বর রবিবারের কারণে সব জায়গায় ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এর পরে, ২৭ ডিসেম্বর মিজোরামে বড়দিন উদযাপনের ছুটি রয়েছে। ইউ কিয়াং নংবাহ স্মরণে ৩০ ডিসেম্বর মেঘালয়ে ব্যাংক ছুটি থাকবে। মিজোরামে নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর, মাসের শেষ দিন ব্যাংকগুলি বন্ধ থাকবে৷ এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অংশে সাধারণ মানুষকে ব্যাংক পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়তে হবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
Partha Mukherjee