কাজী মনিরুল ইসলামের কথায়, আল আমিন মিশনের আদর্শ পরিবেশে পড়াশোনা করে আমার এই সাফল্য। মিশন পরিবারের সদস্য হতে পেরে গর্বিত। পেশায় ফেরিওয়ালা পিতা কাজী মর্তাজ আলী আমিন মিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অপরজন কেশপুরের মুগবসান অঞ্চলের কুচিয়ারা গ্রামের মিনজারুল চৌধুরীও আল আমিন মিশনের মেদিনীপুর শাখার ছাত্র। ৬৩০ নং পাওয়ায় নিটে র্যাঙ্ক হয়েছে ৯৬৬৮ তার। তার এই সাফল্যে খুশি পিতা মিরাজ চৌধুরী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাঁধ নির্মাণের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা
মীর মহম্মদ রাকিব আল আমিন মিশন থেকে পড়াশোনা করে নিটে ৫৮২ পেয়েছে। কেশপুরের শসাবনি গ্রামের বাসিন্দা। পিতা মির রফিকুল ইসলাম গ্রামের মসজিদের ইমাম সাহেব। এই তিন কৃতি হবু ডাক্তারি পড়ুয়াকে সম্বর্ধনা প্রদান করল মেদিনীপুরের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুগবসান টার্গেট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। কেশপুরের মুগবসানে সংস্থার অফিসে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। সংস্থার অন্যতম কর্তা সেখ মনিরুল আলম বলেন, আমরা গর্বিত এই তিন পড়ুয়াকে সম্বর্ধনা জানাতে পেরে। আমরা আশা করছি, এই তিন পড়ুয়া ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে গরীব মানুষের পাশে থেকে সমাজের জন্য কাজ করবে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি জমি দখল করে পাকা বাড়ী তৈরি করে চলছে রমরমিয়ে ব্যবসা!
আল আমিন মিশনের মেদিনীপুর শাখার সুপারিনটেনডেন্ট সেখ ইসরাফিল এই তিন হবু ডাক্তারকে সম্বর্ধনা জানানোর জন্য টার্গেট ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই তিন পড়ুয়াই মেধাবী ছাত্র। এদের সম্বর্ধনা প্রদানে ওরা যেমন উৎসাহ পাবে, তেমনি আগামীতে অন্যান্য পড়ুয়ারাও উৎসাহ পাবে। এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান আব্দুল শফি, সম্পাদক সেখ মনিরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ সেখ মহম্মদ ইমরান, সহ সম্পাদক শেখ মোসাওবের আলী, সদস্য প্রতাপ চন্দ্র ভূঁইয়া, সেখ লিল্টু সহ অন্যান্যরা। এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী।
Partha Mukherjee