কুড়মি সমাজকে এসটি তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি সারনা ধর্মকে পৃথক স্বীকৃতি ও কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা, এই তিন দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আবার আন্দোলনে নেমেছে কুড়মিরা। প্রথম দিন রেল অবরোধ না করলেও বুধবার সকাল থেকেই খড়গপুর ও আদ্রা ডিভিশনের বেশ কিছু স্টেশনে তারা অবরোধ করে। এর ফলে হয়রানির শিকার হন ট্রেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবারও রেল ও পথ অবরোধ চলে। এর ফলে রেলের খড়গপুর ও আদ্রা ডিভিশন মিলিয়ে বাতিল ট্রেনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৮। বহু ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। বহু মানুষ দরকার থাকা সত্ত্বেও অন্যত্র যেতে পারছেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: রমজানেও চাহিদা নেই ফলের! ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে নদিয়ার ব্যবসায়ীরা
এই অবস্থায় আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়লে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য মাসখানেক আগে এই একই দাবিতে কুড়মিরা রাস্তা ও রেল অবরোধ করে আন্দোলন করে। সেবারে টানা ৫ দিন বাকি রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল জঙ্গলমহল। এবারেও পরিস্থিতি সেই দিকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে টানা রাস্তা ও রেল অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন কুড়মিরা সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের দাবি আদায় না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবেই রাস্তা ও রেল লাইনের উপর বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তীব্র গরমও তাঁদের লড়াইয়ের পথ থেকে সরাতে পারবে না বলে ঘোষণা করেছেন কুড়মিরা। বুধবার জেলা প্রশাসন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও সেখানে কোন।ও সমাধান সূত্র মেলেনি। তারপরই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে।
রঞ্জন চন্দ