যেন তারময় এই শহর। ফলে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি প্রায় সময় আতঙ্ক রয়েছে এই সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের। কারণ এই কেবল তার বেশিরভাগটাই নজরদারির অভাবে উপর থেকে নিচে নেমে এসেছে। ফলে চলাচলকারী যানবাহনগুলির টানে কখন যে ছিঁড়ে পড়বে, কার ঘাড়ে পড়বে সেটাই প্রশ্নের এবং আতঙ্কের। যদিও এই তারের জটে ইতিমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটেছে আসানসোল, দুর্গাপুর, মালদা-সহ খাস কলকাতাতে। তাতে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে বহু মানুষের। কিন্তু তা থেকেও শিক্ষা নেয়নি মেদিনীপুর পৌরসভা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ একের পর এক ঝাপটা…! জলের মধ্যে চলল লড়াই…! জালে উঠল বিরাটাকার এক দৈত্য! দাম শুনলে চমকে যাবেন!
বহুবার এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলেই ক্ষোভ। অন্যান্য কালের থেকে বর্ষাকালে বেশি আশঙ্কা থাকে। যদিও হুঁশ ফেরেনি পৌরসভা অথবা প্রশাসনের। বহু সময় বাস যাত্রীরা বাসে যেতে গিয়েও তারের আটকে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও আগে দেখা গিয়েছে এই মেদিনীপুরে। বর্তমান পরিস্থিতিও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এ থেকেই ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। এলাকার মানুষ আশঙ্কার কথাও শোনাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী, অভিলাষ সিং রাজপুত শান্তনু পালেরা বলেন, সরকারি উদাসীনতায় ও পৌরসভার দৃষ্টি না দেওয়ায় এই ধরনেরই অসুবিধা চলছে মেদিনীপুরে। আমরা তাকালেই দেখতে পাই তারের জটে মেদিনীপুর আটকে গেছে। দ্রুত মুক্তির প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভাবুক। মেদিনীপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অনিমা সাহা বলেন, এই সমস্যা আছে মেদিনীপুরে। অতি দ্রুত বোর্ডের মিটিং ডেকে কেবল মালিক, বিদ্যুত দফতর ও সঙ্গে বিএসএনএলকে নোটিশ দিয়ে এই সমস্যার সমাধানের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।
Ranjan Chanda