পরিচিত যুগী দেউল হিসেবে। চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত এক ভগ্নপ্রায় মন্দিরের সংরক্ষনের পথে বেশ কয়েক ধাপ এগোল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষন। সহযোগীতায় ধ্রুপদী হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামে সংগঠন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার দেউল এলাকায় এই মন্দির। সাধারণ ল্যাটেরাইট পাথরের তৈরি হয়। মন্দিরটি যুগী দেউল নামে পরিচিত। গ্রামের মানুষ মনে করেন, কোন যোগী কোনদিন এই পথে যাওয়ার পথে এখানে তপস্যায় বসে পড়েন। আর তাঁকে কেন্দ্র করে বসত ভজনের আসর।যোগীকে স্মরণ করে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় আনুমানিক চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতকে।
advertisement
আরও দেখুন – Viral Reels: তাপপ্রবাহের মারাত্মক পরিণতি, হু হু করে শুকিয়ে গেল নদীর জল, তার তলা থেকে বেরিয়ে এল, ভিডিও
উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতির আদলে তৈরি হলেও ধীরে ধীরে ওড়িশা সংস্কৃতির ধারা লক্ষ্য করা যায়। তারপর থেকে অবহেলায় পড়ে এই মন্দির। পিরামিড আকৃতির এই মন্দির পড়ে পড়ে ধ্বংসপ্রায় রূপ নেয়।মন্দিরের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে পড়েছে।ক্ষতি হয়েছে একাধিক পাথরেও।তারই সংরক্ষনে উদ্যোগী হয় বেলদা ধ্রুপদী ।নিরলস প্রচেষ্টায় সংরক্ষনে তদবীর হয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষন। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।এবং সংরক্ষনের ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন কে জানিয়েছেন তারা।
সরকারি গতভাবে এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতায় দ্রুত সংরক্ষণ হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট দফতরের। পাশাপাশি এই মন্দিরকে সংরক্ষণ করার পর সাধারণ মানুষের কাছে যাতে ইতিহাস পৌঁছতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হবে।প্রসঙ্গত এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বছরে একাধিকবার নানান সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়। বছরে কয়েকবার পরিষ্কার হলেও অবহেলায় পড়ে থাকে মন্দিরটি। কখনও আগাছা আবার কখনও বৃষ্টি জলে পড়ে পড়ে নষ্ট হয় মন্দিরের একাংশ। তবে সরকারিভাবে সংরক্ষণ হলে খুশি হবেন সাধারণ মানুষজন।
Ranjan Chanda