ওই ব্যক্তি পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গত ৮ ই মে বাড়ি থেকে স্কুটিতে করে বেরোনোর পর আর বাড়ি ফেরেননি ওই ব্যক্তি। দু’দিন পর অর্থাৎ ১০ ই মে পরিবারের তরফ থেকে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায়। তারপর থেকে হন্যে হয়ে থানায় থানায় ঘুরেছেন পরিবারের সদস্যরা। কোতোয়ালি থানার তরফ থেকে মোবাইল নাম্বার ট্রেস করে শেষ লোকেশন দেওয়া হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের।
advertisement
আরও পড়ুন: মাছ বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল কন্যাশ্রীর টাকা! ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটল এই ঘটনা! জানুন
পুলিশের পরামর্শে আনন্দপুর থানা ও কেশপুর থানাতেও দিন কয়েক ধরে হন্যে হয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শেষমেষ ১৫ তারিখ কোতোয়ালি থানার তরফ থেকে জানানো হয় নিখোঁজ ওই ব্যক্তির মৃতদেহ নাকি ৯ তারিখেই উদ্ধার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দপুর থানার অন্তর্গত তেঘরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পুকুরকনা এলাকার থেকে উদ্ধার হয় ওই মৃতদেহ। পুলিশ ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর মৃতদেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: সকালে ঘুম থেকে উঠলেই গোটা শরীরে ব্যথা! ক্লান্তি! কেন হয় জানেন? সাবধান
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অন্য কোনও গাড়ির সাথে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। তবে তার পরের দিন মিসিং ডায়েরি লেখানো হলেও এক সপ্তাহ পরে কেন পরিবারকে মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানালেন পুলিশ কর্মীরা। কেনই বা পরিবারকে বারংবার বিভিন্ন থানার দ্বারস্থ হতে হলো, মঙ্গলবার দুপুরে বাবার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে দাড়িয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, পুলিশ তাদের বিভ্রান্ত করেছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর কারণ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করে মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটনে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার কোন মন্তব্য করতে চাননি।
Sovon Das