এদিন, প্রথমে ‘চিত্রতরু’ ভবনে পৌঁছে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পটচিত্র সম্বন্ধে সম্যক ধারণা গ্রহণ করেন, ইউনেসকোর কনভেনশন ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটির সম্পাদক জন সিভিস্টিয়েন কার্টিস। তারপর, পটুয়াপাড়ার শামিয়ানায় বসে পটচিত্রীদের গলায় শোনেন মঙ্গলকাব্য থেকে আধুনিক যুগের নানা চিত্রকথা। কার্টিস তাঁর নিজের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দীও মুহূর্তগুলিকে। এরপর তিনি কথা বলেন পিংলার পট শিল্পীদের সাথে। দোভাষীর কাজ করেন খোদ জেলাশাসক আয়েশা রানী। মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “পিংলার নয়াকে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক ইচ্ছেতে সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আজকে ইউনেস্কো’র প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। প্রথমবার পরিদর্শন হল। হেরিটেজ একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া বা লং প্রসেস। সময় লাগবে, তবে আমরা আশাবাদী। ইতিমধ্যে, পিংলার এই পটুয়া বা পট শিল্পীদের খ্যাতি ও সৃষ্টি দেশ-বিদেশে প্রশংসিত। হেরিটেজ তকমা পেলে তা খ্যাতির শিখরে পৌঁছবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ৪০০ বছরের প্রাচীন বুড়িমার দুর্গাপুজো! জমিদার বাড়ির পুজোর গল্প অবাক করবে!
জেলাশাসক আয়েশা রানী-ও বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। একই সঙ্গে পর্যটন শিল্পের প্রসারে জেলা প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। অপরদিকে, প্রতিনিধি দলের তরফে পট চিত্রের এই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, “অসাধারণ সৃষ্টি শৈলী। সেভাবে প্রাচীন পুরান ও কাহিনীকে চিত্র ও সঙ্গীতের মাধ্যমে সজীব (জীবন্ত) রূপ দেওয়া হচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। নিঃসন্দেহে এই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনন্য।” হেরিটেজের বিষয়টি নিয়েও তাঁদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। তাই, আশায় বুক বাঁধছেন বাহাদুর চিত্রকরের মতো বিশ্বখ্যাত পটশিল্পীরা। তাঁদের কথায়, “পিংলার এই নয়া গ্রামে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠবে। সেই কাজ শুরুও হয়েছে। দেশ-বিদেশে এর কদর আছে। অনেক পর্যটক আসবেন। আমরা আশাবাদী। হেরিটেজ তকমাও মিলবে একদিন না একদিন।” কার্টিস এদিন ঘুরে দেখেন বাহাদুর চিত্রকরের সংগ্রহশালা। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া পটচিত্রের উপহারও।
Partha Mukherjee





