অকৃতদার মদনের ভাই, ভাইপো প্রমুখকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় বলে জানা গেছে। এরপরই, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশ সম্বলিত নোটিশ ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই এলাকায়। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে একাধিক নোটিশ ঝোলানো হয়। নোটিশে মদন মাহাতোর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলার উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদী নেতা মদন মাহাতোর খোঁজ চালাচ্ছে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার পুলিশেরা। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশেই ঝাড়খণ্ড পুলিশ তাঁর বাড়ি করমশোল গ্রামে আসে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বা মাওবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে মদন মাহাতোর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা লাগানো, সরকারি কাজে বাধা দান, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, খুন বা হত্যার চক্রান্ত প্রভৃতি জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় (147/148/149/353/307 IPC/3/4 PP Act প্রভৃতি) মামলার উল্লেখ করা নোটিশ টাঙানো হয়েছে গ্রামে। মাওবাদী নেতা মদন মাহাতোর খোঁজ দেওয়ার জন্য একটি ফোন নং ও ইমেল আইডিও দেওয়া রয়েছে নোটিশে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাসে দু'বার নিতে হয় রক্ত! থ্যালাসেমিয়া রোগী ইন্দ্রানী সুযোগ পেল ডাক্তারিতে!
তবে, তাঁর পারিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘ ২২-২৩ বছর আগে, যখন তাঁর ১৫-১৬ বছর বয়স, তখনই মাওবাদীদের ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মদন। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই মদন মাহাতোর। এমনকি, এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তাঁর বাবা-মা'র মৃত্যু হলেও, গ্রামে আসেননি মদন। মাঝখানে পশ্চিমবঙ্গ তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের ভয়াবহ মাওবাদী সময়ে (২০০৬-২০১০) মদনের নাম শোনা গেছে বারবার। তবে, সেই সময়ও মদন তাঁর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি বলে তাঁর ভাই, ভাইপো সহ এলাকাবাসীর দাবি। তা সত্ত্বেও মদনের খোঁজে এলাকায় বিভিন্ন সময়ে ভিন রাজ্যের পুলিশ এসেছেন বলে দাবি তাঁর এক ভাইপোর। বৃহস্পতিবারও যেমন এসেছিলেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের আধিকারিকরা!
Partha Mukherjee