পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মান্না পঞ্চায়েতের নিমা গ্রামের ঝর্ণা পাত্র। পরিবারে দারিদ্র থেকে যাত্রায় আসা। মেয়েকে যাত্রা তে অভিনয়ে নিয়ে আসেন বাবা বিনয় পাত্র। প্রথম থেকে কলকাতার যাত্রাদলে অভিনয় করেন।জ্যোৎস্না দত্ত, গুরুদাস ধাড়া, দীপঙ্কর দে, রবি ঘোষ, সোমা মুখোপাধ্যায়, বিদিশা মহান্তি, সুমন্ত রায়েদের সঙ্গে যাত্রা করেছেন। ১৯৯০ সালে যাত্রা ছেড়েছেন। তারপর বাড়িতে বসা। এরপরই শিশুশিল্পী ঝর্নার বিয়ে হয়।বিয়ের পর আর যাত্রাতে ফেরেননি। তবে এখনও মনের কোণে ভিড় করে যাত্রার দিনগুলি। কিন্তু এই লোকশিল্প আজও তার মনের গভীরে বেঁচে আছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনাদার খুব কাছে! গ্রামে লোক মাত্র ১০০জন! এখানেই ঘুমিয়ে আছেন বুদ্ধ! চট করে ঘুরে আসুন চটকপুর!
আরও পড়ুন:
বর্তমানে যাত্রা শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে।অনলাইন, নেট দুনিয়ার হারিয়েছে গ্রামবাংলার প্রচলিত যাত্রাশিল্প।শিল্পের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা বেঁচে আছে তার মনে। দাঁতনের মনোহরপুরে বিয়ের পর তার বাসা বদল হয়েছে। ওখানেই থাকেন। তবে তিনি চান যাত্রা শিল্প বেঁচে থাক। অসুস্থ হলেও কাছেপিঠে যাত্রা হলে চলে যান দেখতে। তিনি বলেন," মাঝে যাত্রাশিল্পটা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল। এটা একটা লোকশিল্প। শিল্পটি বেঁচে থাক।"
Ranjan Chanda