প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস আগে থেকে নিজেদের একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে রেল ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল কুড়মি সমাজের মানুষজন। এমন কি, বেশ কয়েকদিন আগেও একাধিক জায়গায় রেল ও রাজ্য সড়ক ফের অবরুদ্ধ করেছিল তারা। তাদের মূল দাবি ছিল, কুড়মি সম্প্রদায়কে এসটি তালিকাভুক্ত করতে হবে। রাজ্য সরকারকে, কেন্দ্র সরকারের কাছে অবিলম্বে সিআরআই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: মণিপুরে আটকে থাকা এ রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্ধারের নির্দেশ, হেল্পলাইন নম্বর জানালেন মমতা
দাবি নিয়ে আলোচনা করতে একাধিকবার কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এমন কি, সাইকেল মিছিল করে পুরুলিয়া থেকে কলকাতার সিআরআই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তারা। আন্দোলনও সংগঠিত হয়। কিন্তু শেষমেষ সুরাহা হয়নি কোনও কিছুই।
তবে এবার অভিনব প্রতিবাদ জানালো কুড়মি সমাজের মানুষজন। জানা গিয়েছে, ছোটনাগপুর এলাকা,পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা, খেমাশুলি, শালবনি, ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশ, পুরুলিয়ার কুস্তাউর, বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় বাস করেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। এবার তাঁরা নিজেদের পাড়ায়, নিজেদের বাড়ির দেওয়ালে লিখে দিয়েছেন, ‘এই দেওয়ালে যেকোনো রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ। আমার দেওয়াল আমার থাক।’
স্বাভাবিকভাবে কোনও রাজনৈতিক দলকে নিজেদের বাড়ির দেওয়ালে প্রচার দিতে নারাজ তারা। আদিবাসী কুড়মি সমাজের রাজ্য যুব নেতৃত্ব তুহিন মাহাতো বলেন, ‘রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের কাছে সিআরআই রিপোর্ট জমা দেয়নি। অন্যদিকে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলও তাদের এই আন্দোলনকে কোনওভাবে সমর্থনও করেনি।’
দিনের পর দিন নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছে কুড়মি সমাজের মানুষজন। তাই স্বাভাবিকভাবে দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘ভোটের সময়ে বিভিন্ন দল থেকে ভোট চাইতে আসে, প্রতিশ্রুতি দেয় নানা কাজ করবার। কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলে আখেরে কোনও কাজ হয় না। তাই বিভিন্ন জায়গায় এই দেওয়াল লিখন চলছে।’
পশ্চিম মেদিনীপুরে খেমাশুলি, কলাইকুন্ডার বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখনের কাজ চলছে। আগামীতে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজনের বসবাস করবার বিভিন্ন পাড়া গ্রামে এই ধরনের অভিনব প্রতিবাদ প্রচার চলবে।
Ranjan Chanda