শনিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম বনদফতর পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রামের বিড়িহান্ডি বিটের কাজলার জঙ্গলে উন্মত্ত ওই হাতিটিকে ট্র্যাক করা হয়। বন দফতরের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে দাঁতাল হাতিটিকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। হাতিটি ট্রাঙ্কুলাইজ তথা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চোখ বেঁধে গাড়িতে তোলা হয়। বন দফতর জানিয়েছে হাতিটি জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার সময় পথেই মারা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন – Amarnath Yatra 2023: চাঁদের আকর্ষণে বাবা মহাদেবের আকার পরিবর্তিত হয়, কী রহস্য লুকিয়ে অমরনাথের গুহায়
এদিকে কেন হাতিটি মারা গেল তা জানতে ময়নাতদন্তের করা হবে বলে বন দফতর জানিয়েছে। ময়না তদন্তের পরই হাতিটিকে দাহ করা হবে। উল্লেখ্য গত কয়েক দিন ধরে পর পর হাতির হানায় মৃত্যু ঘটনা ঘটছিল। ২০ জুন লালগড়ে বুড়াবাবা থানে কর্তব্যরত অবস্থা এক হোমগার্ড হাতির হানায় মারা যান। এরপর ২২ তারিখ পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া এবং ২৯ জুন ঝাড়গ্রামের বিড়িহান্ডি বিটের কাজলাতে একজনের মৃত্যু হয়। বনদফতর জানিয়েছে এই মৃত্য গুলি এই বছর পঁচিশের দাঁতাল হাতির হানায় হয়েছে।
এছাড়া গত ২৪ মার্চ একই দিনে সকালে বেলপাহাড়ি থানার ভুলাভেদা রেঞ্জের দলদলিতে এবং ভুলাভেদা রেঞ্জ অফিসের কাছেই এক মহিলা সহ তিনজনের হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনাতেও এই হাতিটিই মেরেছিল ওই তিনজনকে বলে বন দফতর জানিয়েছে । আরও জানা গিয়েছে দাঁতাল এই হাতিটি মানুষ দেখলেই তাড়া করছিল। আর তাড়া করে মেরে ফেলছিল মানুষকে। রীতিমতো এলাকায় ত্রাস তৈরি হয়েছিল এই হাতিটি ঘিরে। পরপর এই ঘটনা গুলির পর বন দফতর হাতিটিকে ধরে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী এদিন সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাতিটিকে ধরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এদিকে হাতি ধরা দেখতে কাজলা জঙ্গল এলাকায় হাজারো মানুষ ভিড় করেছিল। উল্লেখ্য গত বছর এমনই একটি উন্মত্ত হাতিকে বন দফতর ধরে উত্তরবঙ্গ পাঠিয়েছিল। এদিন হাতিটিকে ধরা গেলেও জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে পৌছানোর আগেই পথে মারা যায়।বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন “এই হাতিটি পরপর মানুষকে মারছিল। তাই এটিকে ক্যাপচার করে চিকিৎসার করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু হাতিটিকে ধরা গেলেও জুলজিক্যাল পার্কে আনার পথে মারা যায়। কী কারণে মৃত্যু হল তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। “
Raju Sing





