সেখানেই তিনি এই পুজোর প্রথম প্রচলন করেন। এরপর এই পুজো ধীরে ধীরে উঠে আসে মেদিনীপুর শহরের মীরবাজার এলাকায়। পাঁচ-ছয় প্রজন্ম ধরে এই ঘোষ পরিবারের পুজো করে আসছেন বর্তমান সদস্যরা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাতে শুরু হয়েছিল এই জগদ্ধাত্রী পুজো! জানুন সুদীর্ঘ ইতিহাস
এই পুজোতে মূল বিশেষত্বই হল, মাকে দেওয়া হয় কাঁচা মাংস ও ছানার তৈরি বিশেষ মণ্ডা। মা সন্তুষ্ট হওয়ার পর সেই ভোগ অতিথিদের এবং আশেপাশের পরিবারকে দেওয়া হয়। এই জগদ্ধাত্রী প্রতিমা মূলত দুর্গাপুজোর বিসর্জনের পর সেই বিসর্জনের মাটি নিয়ে এসে তৈরি হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে পালিত হল ছট পুজোর উৎসব, চলল স্নান পর্ব ও সূর্যপ্রণাম
গত বছরের রেখে দেওয়া কাঠামোর উপর মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। এরপর চলে রং এবং মাটির কাজ। তার পর দেবীর অলংকরণ। এই পুজোতে ধূপ কেনা হয় না বাজার থেকে। প্রায় মাসখানেক ধরে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই তৈরি করেন এই বিশেষ সুগন্ধি ধূপ। এরপর এই পুজো অনুষ্ঠিত হয় এবং সে পুজোতে অংশগ্রহণ করেন এই পরিবারের বিভিন্ন রাজ্য এবং দেশ-বিদেশের ছড়িয়ে থাকা প্রায় ২৫০ জন সদস্য।
পুজোর পরেই বিসর্জন হয় এবং সেই পুজোতে দেদার মজা হই হুল্লোড় আমোদ প্রমোদে মেতে ওঠেন ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। এই পুজোতে মূর্তি গড়েন এমন শিল্পীরা, যাঁরা বহু বছর ধরে সেই পুজোর সঙ্গে জড়িত। পুজো হয় তান্ত্রিক মতে। পুজো আয়োজন থেকে পুজোর ভোগ বিতরণেও অংশ নেন সদস্যরা। আরামবাগ থেকেই এই পুজো এসেছে মেদিনীপুরে।
Partha Mukherjee