ছোটবেলায় সামান্য কয়েক ক্লাস হয়তো পড়াশোনা করলেও সংসার চালাতে একাধিক বাড়িতে করতে হয়েছে রাখালের কাজ। তবে ছোট থেকেই বাঁশির প্রতি ঝোঁক তার। কোনও প্রতিষ্ঠিত বংশীবাদকের থেকে শেখেননি স্বরলিপি। কখনও অন্যের দেখে আবার কখনও নিজের প্রচেষ্টাতেই সুর তুলেছেন বাঁশিতে। আদিবাসী কিংবা বাংলা যাত্রা, দাসাই পরব থেকে বাহা পরবের অনুষ্ঠানে গানের সঙ্গে আবহ দিয়েছেন বাঁশিতে। এখন আপন মর্জিতে বাঁশি বাজান তিনি। ছোট থেকেই বাঁশির সঙ্গে যেন তার নাড়ির টান। এখনও রাত হোক কিংবা দিন মনের ইচ্ছে হলেই বাঁশি বাজান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভয়ানক শোষক পোকা শুষে নিচ্ছে ধান গাছের সব রস, কালনায় আমন চাষে চরম ক্ষতি, সরকারি সহায়তার আশায় কৃষকেরা
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম কানপুরের আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত এই বৃদ্ধ প্রতিভাবান বংশীবাদকের নাম নারান মান্ডি। সামান্য ছিপছিপে চেহারা তার। বয়স তার ৬০ পেরিয়েছে। এখনও নিজের পেট চালাতে লোকের বাড়িতে দিনমজুরির কাজ করেন। যা টাকা আয় হয় তাতেই চলে যায় তার খরচ। তবে এখন হয়তো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে না নারানের। এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবহাও দেওয়ার ব্যস্ততা নেই তার কাছে। তবে নিজের শিল্পের প্রতিভা হারিয়ে যেতে দেননি নিজেই। কখনও রাতে, কখনও আবার দিনের বেলায় তিনি বাঁশিতে সুর তোলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার আদিবাসী এই বৃদ্ধের নেই পড়াশোনা। দিনমজুরির কাজের কারণে গায়ে হয়তো ময়লা পোশাক থাকে সারাক্ষণ। তবে তার প্রতিভা বেশ উজ্জ্বল। গ্রামের আদিবাসী বৃদ্ধের গুণ অবাক করবে সকলকে।





