আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত বনকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন বিধানসভা ক্ষেত্রের তুরকা গ্রামের মন্মথনাথ ষাঁড়েশ্বরী তেমন এক বিপ্লবী ছিলেন। মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই আন্দোলন ব্রিটিশ পুলিশ নির্মমতার সঙ্গে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশের মারে সারা জীবনের জন্য একটা পা অকেজো হয়ে যায় মন্মথনাথ ষাঁড়েশ্বরীর। তবু লড়াই ছাড়েননি।
advertisement
স্বাধীনতা সংগ্রামী মন্মথনাথের বাবা আইনজীবী ছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনের ভাবধারায় যুক্ত ছিলেন তিনিও। আইনজীবীর ছেলে অংশ নেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। ১৯৩০ সালে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দেন মন্মথনাথবাবু। পূর্ব মেদিনীপুরের পিছাবনীতে লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে ছিলেন তিনি। সেখানেই আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের নির্মম অত্যাচারে তাঁর একটি পা ভেঙে যায়। স্বাধীনতার পর তুরকা পঞ্চায়েতের প্রথম প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। এছাড়াও তার জীবদ্দশায় একাধিক সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পঁচিশ বছর পূর্তিতে ইন্দিরা গান্ধির হাত থেকে তিনি তাম্রফলক নিয়েছিলেন। এখনও তাঁর পরিবারের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতীক হিসেবে তা আছে।
রঞ্জন চন্দ