আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক (ভূতত্ত্ব বিভাগ) ডঃ অনিন্দ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "আমরা সম্প্রতি ৪-৫ প্রকারের ঘূর্ণিঝড়ের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি। নেপার্টক, মেরান্টি, মালকাস এবং মেগি নামে চারটি প্রবল ঝড় নিয়ে গবেষণা করেছি, যা ২০১৬ সালে আঘাত হানে তাইওয়ানে। দেখা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।" এজন্য মূলত বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন Siliguri News : রাতারাতি কোটিপতি হলেন যুবক, লটারির ১ কোটি টাকা জয় ঘুরিয়ে দিল ভাগ্যের চাকা
আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা এই গবেষণা পত্রের প্রধান লেখক ডঃ সৌরেন্দ্র ভট্টাচার্যর মতে, "যে কোনও ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়ার সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। আর, তার অবশিষ্ট জলীয় বাষ্প পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এটি অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের আইসোটোপের অনুপাতকে পরিবর্তন করে। আমরা এই ঘাটতির পরিমাণ ট্র্যাক করেছি, গণনা করেছি এবং এই চলমান ঘূর্ণিঝড় থেকে কতটা বৃষ্টি হয়েছে বা বৃষ্টির ঘাটতি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য মডেল তৈরি করেছি।"
আরও পড়ুন তিন মারণ রোগকে জয় বৃদ্ধের! কামাল এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের
অ্যাকাডেমিয়া সিনিকার অধ্যাপক মাও-চ্যাং লিয়াং-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আইআইটি খড়্গপুরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এই ঝড় (টাইফুন) গুলি তাইওয়ানে আসার সঙ্গে, আমরা একটি উঁচু ভবনের উপরে একটি ভর স্পেকট্রোমিটার স্থাপন করেছি, যাতে বাষ্পে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের আইসোটোপগুলি ক্রমাগত পরিমাপ করা যায়। প্রযুক্তিটি আমাদের দেখিয়েছে প্রতি দশ মিনিটে একটি ঝড়ের গতি প্রকৃতির মধ্যে পরিবর্তন ঘটায়।"
লিয়াং বলেন, "যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই ভারত এবং তাইওয়ান (বা, জাপান)-এর মতো গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি বোঝার ক্ষেত্রে এই গবেষণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। একইসঙ্গে, ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক গবেষণার আরো সুদূরপ্রসারী দিক উন্মুক্ত করবে।"
Partha Mukherjee