আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো হয় না, কিন্তু কালীপুজোয় হিট বালিয়া! গোটা গ্রামজুড়ে থিমের ছড়াছড়ি
বছরভর কম-বেশি জল থাকে নদীতে। বর্ষার সময় জলে টইটুম্বুর হয়ে ওঠে শিলাবতীর শাখা নদী বুড়িগাং। নদীর কিনারা বরাবর রয়েছে মাটির রাস্তা। সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করে স্কুল পড়ুয়া থেকে গোটা গ্রামের মানুষ। কিন্তু ক্রমশাই নদী ভাঙন সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করছে। ধীরে ধীরে নদীর গ্রাসে চলে যাচ্ছে রাস্তা। ইতিমধ্যে রাস্তার অনেকটা অংশই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। কিন্তু বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছে। ধীরে ধীরে নদী ঠেকতে শুরু করেছে স্কুলের দেওয়ালে। ফলে ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের অজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলোচক ও নিমপাতা এলাকার মানুষজন নদী ভাঙন সমস্যার জেরে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। রাস্তার গা ঘেঁষে বেয়ে চলেছে বুড়িগাং নদী। ধীরে ধীরে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে মূল রাস্তাটি। সন্ধে হলেই জীবন হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রসঙ্গত কাছাকাছি এলাকায় তেমন কোনও বিদ্যালয় না থাকায় নিমপাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপরই নির্ভর করতে হয় একাধিক গ্রামের পড়ুয়াদের। কিন্তু নদী ভাঙনের জেরে সেই স্কুল আর কদিন থাকবে সেটা নিয়েই এখন সংশয়।
রঞ্জন চন্দ