বৃহস্পতিবার চার হাজারের অধিক পড়ুয়া প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ অবস্থান করেন রাতভর। অস্বাভাবিক ও রহস্যময় এই মৃত্যুর তদন্ত পুলিশ শুরু করলেও তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুর বানাচ্ছিলেন শিল্পী, চলন্ত গাড়ি মারল পিষে! মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ্যে
১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হোস্টেল বা হলের একটি রুম থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ফাইজান আহমেদের (২৩) পচাগলা দেহ উদ্ধার করে টাউন থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক ও রহস্যময় এই মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তার পরদিনই অসমের তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন ফাইজানের বাবা সেলিম আহমেদ এবং মা রেহানা আহমেদ।
advertisement
'মৃতদেহ' দেখে ওইদিন তাঁরা বিস্ফোরক অভিযোগ করে এও জানিয়েছিলেন, 'এটা আমাদের ছেলে হতেই পারে না! ওর সঙ্গে এই মৃতদেহের কোনও মিল নেই। এমন ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। ২০ অক্টোবর এই দাবি নিয়ে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত ছাত্রের বাবা। আইআইটি ক্যাম্পাসে ৩০ হাজারের বেশি আবাসিক রয়েছেন। নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে গোটা ক্যাম্পাস।
নিরাপত্তা-সহ এমন ঘটনা রোধে গত বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ চলছে ক্যাম্পাসে। শুক্রবার মোমবাতি জ্বালিয়ে হাজার অধিক আবাসিক এবং পড়ুয়ারা বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হন।