আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি চালকদের চোখের হালচাল পরীক্ষা করা হচ্ছে
বাঘাযতীনের মৃত্যু দিবসে তাঁকে স্মরণ করার পাশাপাশি অত্যাচারী ব্রিটিশ তাড়াতে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করাই মূল্য লক্ষ্য এই সাইকেল র্যালির। তাই যাত্রাপথে বিপ্লবী ও মনীষীদের মূর্তিতে মাল্যদান করেই পথ এগোচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে জৈব পদ্ধতিতে চাষ, সবুজায়ন ও যোগাভ্যাসে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতেই সাইকেল র্যালি এই সংস্থার। শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বালিয়াপাল থেকে যাত্রা শুরু করেন সংস্থার সদস্যরা। একশোজন সদস্য সাইকেল যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বাঘাযতীনের স্মৃতি বিজড়িত নদিয়ার কৃষ্ণনগরে শেষ হবে যাত্রা। প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার যাত্রাপথ শেষ করবেন ছয়দিনে।
advertisement
শুক্রবার বিকেলে দাঁতন হয়ে বেলদাতে পৌঁছন তাঁরা। পরে নারায়ণগড় পর্যন্ত যাত্রা করার পর রাতে নারায়ণগড়ে থাকেন। শনিবার ফের যাত্রা শুরু হয়, এদিনের গন্তব্য ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান মোহবনি। পরে বেলুড় মঠ হয়ে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থানে যাবেন। পৌঁছবেন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। যাত্রাপথের মধ্যেই ১০ সেপ্টেম্বর বাঘাযতীনের মৃত্যুদিন পালন করবে সংস্থাটি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ২০১৫ সালে বাঘাযতীনের মৃত্যুর একশোবছর পূর্তিতে ‘বাঘাযতীন স্মৃতি পরিষদ’ গড়ে তোলেন ওড়িশার বালিয়াপালের কয়েকজন। বাঘাযতীনকে স্মরণ করতেই এই সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হলেও ব্রিটিশ তাড়াতে ওড়িশার বুড়িবালামের তীরে যুদ্ধ করে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঘাযতীন। তাই তাঁর সম্বন্ধে বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রঞ্জন চন্দ