মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপি না থাকায়, মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা কে করেছিলেন, তা সঠিক জানা যায় না। জানা যায় না প্রতিষ্ঠার সময়কালও। গবেষকদের দাবি সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। অন্যদের অভিমত, ওড়িশার সূর্যবংশীয় নৃপতি গজপতি মুকুন্দদেব (শাসনকাল ১৫৫৯ – ১৫৬৮) ষোড়শ শতাব্দীর শেষার্ধে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের চারপাশ পাথরের তৈরি প্রায় দশ ফুটের উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ভিতরের অঙ্গনটির আয়তন ১৩,৮৮৩ বর্গফুট।
advertisement
তার ভিতর ফুট চারেক উঁচু ভিত্তির উপর মন্দিরটি স্থাপিত। মন্দিরের অলঙ্করণ হিসাবে দেখা যায় মূল প্রবেশপথের সামনে একটি নন্দীমূর্তি। যা কালের আঘাতে ভগ্ন। মন্দিরের উত্তরদিকে পাথরে খোদিত একটি মকরমূর্তি আছে। সামনের দ্বারপথের মাথায় ভগবান বিষ্ণুর অনন্তশয্যা ফলক আছে।
এই মন্দিরে প্রতিদিন বহু ভক্ত ভিড় জমান। তবে বছরে বেশ কিছু বিশেষ দিনে বেশি ভিড় হয়। প্রতিদিন চলে পুজো পাঠ। শ্রাবণের সোমবারেও বেশ ভিড় হয় শ্যামলেশ্বর মন্দিরে। তবে মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে এ পর্যন্ত কোন তথ্য না পাওয়া গেলেও মন্দিরের প্রাচীনত্ব ভক্তদের বেশি করে আকৃষ্ট করে। শ্রাবণের সোমবারের সকাল থেকে মন্দির চত্বরে দেখা গেল ভিড়।