আরও পড়ুনঃ মদ্যপানের আসরে বন্ধু খুন! ভোটের আবহ ভাঙরে হাড়হিম ঘটনা, শুনলে আঁতকে উঠবেন
তার মধ্যে একটি ভবন রবিবার দুপুরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তার নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বিশ্বনাথ হাঁসদা (১৩) নামের এক কিশোরের। বেশ কিছুক্ষণ চাপা পড়ে থাকার পর কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ এসে কিশোরের দেহ উদ্ধার করে। কিশোরের বাড়ি নাপো এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছিল। সুবর্ণরেখা ব্যারেজ গড়ে তোলার জন্য বাম আমলে গড়ে উঠেছিল এই আবাসন। সেচ দফতরের সেই পরিত্যক্ত আবাসনের ভেতরেই হয়ত ছিল কিশোর। হঠাৎই দোতলা ভবনটি ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে যায় কিশোর।
advertisement
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুক্রবারও ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়েছিল। ভবনে কাউকে যেতে নিষেধ করা হয়। তারপরেও কিশোর ভবনের ভেতর গিয়েছিল বলেই অভিযোগ উঠেছে। তবে ভেতরে ছিল নাকি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভেঙে পড়েছে তা স্পষ্ট নয়। অসুরক্ষিত অবস্থায় থাকায় প্রশাসনের কোনও নজরও ছিল না। আর তা থেকেই এদিন এমন ঘটনা বলেই অনেকের বক্তব্য। এলাকার বাসিন্দা তাঁরা পাত্র বলেন, “এলাকার অনেকেই এই বাড়ির অংশ ভেঙে এর ইট বাড়ি নিয়ে যেত। বিভিন্ন কাজে লাগাত। গ্রামবাসীদের বাধা, বারণ কোনওটাই শোনেনি। শুক্রবার ভবনের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। এদিন সকালেও কয়েকজন এলে বারণ করা হয়। কিন্তু শোনেনি। যার ফলে এই ঘটনা।”
যদিও কিশোরের পরিবার এমন অভিযোগ মানেনি। তাঁদের বক্তব্য, ওখানে ছেলেরা আড্ডা দিতে যায়। অন্যকিছু নয়। প্রতিদিন আড্ডা দিতেই যেত। কেন এমন হল? মৃত কিশোরের বাবা হীরা বলেন, “ভবনের নীচের অংশ থেকে ইট খুলে নেওয়ার ফলে বিল্ডিংটি পড়ে গেল। ছেলে ওখানে আড্ডা দিতে যেত।” প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছে মানুষের। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকা ভবনের ভেতরে ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও বিধি নিষেধ ছিল না। কোনও পদক্ষেপও নেয়নি প্রশাসন। প্রশাসনের আশ্বাস আগামী দিনে এধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা দেখা হবে।
Ranjan Chanda